খড়িবাড়ি: অবৈধভাবে পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠল খড়িবাড়িতে। এরপরই অভিযুক্ত পুকুর মালিককে আড়াই লক্ষ টাকা জরিমানা ও পুকুরের মাটি তুলে ফেলার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে ভরাট করা পুকুরের মাটি না তুলে সেখানেই বেপরোয়াভাবে কলা বাগান ও বাড়ি বানানোর অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান মহকুমা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ কিশোরিমোহন সিংহ, খড়িবাড়ি বিডিও দীপ্তি সাউ সহ অন্যান্যরা।
উল্লেখ্য, খড়িবাড়ি কেশরডোবায় ৩২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে এক বিঘার বিরাট পুকুর সকলের চোখের সামনে ভরাট হচ্ছিল। পুকুর ভরাট করে সেই জমি চড়া দামে বিক্রির পরিকল্পনা ছিল পুকুর মালিক বিমল সরকারের ছেলে ভূপেন্দ্র সরকারের। তিনিই নাকি মূল অভিযুক্ত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন। প্রথম এনিয়ে খবর করে উত্তরবঙ্গ সংবাদ অনলাইন। তারপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। অভিযুক্তরা বাড়ি থেকে পালিয়েও যায়।
এরপর খড়িবাড়ি ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর থেকে পরপর দুবার নোটিশ জারি করা হয়। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে ১২ জানুয়ারি হাজিরা দেয় অভিযুক্তরা। কোনও বৈধ নথি দেখতে না পারায় ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর অভিযুক্তকে আড়াই লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১০ দিনের মধ্যে ভরাট করা পুকুরের মাটি তুলে নিয়ে পুকুরের পূর্বের রূপ ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। অভিযুক্ত জরিমানার টাকা জমা করলেও পুকুরের মাটি তুলে ফেলে নি। বরং প্রশাসনের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সেই জায়গায় কলা বাগান লাগিয়ে একটি টিনের ঘর বানিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি নজরে আসায় আজ খড়িবাড়ি ব্লকের প্রশাসনিক আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করেন। পরে একটি প্রশাসনিক বৈঠকের পর শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ কিশোরিমোহন সিংহ জানান, কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। খড়িবাড়ির বিডিও দীপ্তি সাউও দ্রুত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।