হরিশ্চন্দ্রপুর: ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের দাদু এবং ঠাকুমার জমি করে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও তার বাবার বিরুদ্ধে। এমনিতেই একা থাকতেন ওই বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। ছেলে বা নাতি কেউই তাঁদের দেখত না, ভিক্ষাবৃত্তিই ছিল তাঁদের একমাত্র অবলম্বন। এই অবস্থায় কোনরকমে বেড়ার ঘর বানিয়ে তারা একটি খাস জমিতে বসবাস করছিলেন। সেই আশ্রয়স্থলটুকুও কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল সিভিক ভলান্টিয়ার নাতি ও তার বাবার বিরুদ্ধে। বর্তমানে তাঁদের ঠিকানা আকাশের নীচে।
জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার আলিনগরের খাস জমিতে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে বসবাস করতেন বৃদ্ধ রফিজউদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী। সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন জমির পাট্টার জন্য। কিন্তু সেখানেও অভিযোগ, শাসকদলকে ব্যবহার করে টাকার বিনিময়ে ছেলের নামে জমির পাট্টা হয়ে যায়। এরপরই ছেলে ও নাতি মিলে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। নাতি সলিমুদ্দিন সিভিক ভলান্টিয়ার। সেই ক্ষমতা ব্যবহার করে তাঁদের ভয় দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠে এসেছে। শুক্রবার ছেলে এবং নাতির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বৃদ্ধ। যদিও বৃদ্ধের ছেলে সাফিক এবং নাতি সালিমুদ্দিন সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।