হরিশ্চন্দ্রপুর: মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল সম্পর্কে আত্মীয় এক পার্শ্বশিক্ষকের ছেলের বিরুদ্ধে। যার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার সুলতান নগর অঞ্চলের পীরগঞ্জ গ্রাম। বুধবার সন্ধ্যা ছটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে গুরুতর আহত হয়েছেন একাধিক জন। তাঁদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা স্থানীয় একটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে বাস লাঠি হাতে দুই পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা তসলিম রজকের মেয়ে চান্দিনি খাতুন (১৬) গতকাল সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের মক্তব থেকে পড়াশোনা করে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, এলাকারই সুরত রজকের ছেলে রাহুল রজক (১৮) তাকে নোংরা ভাষায় কটুক্তি করে। চান্দিনি প্রতিবাদ করতেই শুরু হয় তর্ক বিতর্ক। এরপর উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তসলিম রজক বলেন, ‘মেয়ে বাড়ি এসে আমাদের সবকিছু জানায়। আমরা এর প্রতিবাদ করতে সেখানে যাই। ছেলেটির পরিবার এবং তাদের পরিচিতরা মিলে আমাদেরকে বেধড়ক মারধর করে। আমাদের পরিবারের একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তের বাবা সুরত রজক। তিনি জানান, আমার ছেলে এরকম কোনও কাজই করেনি। তসলিম রজকের পরিবারের লোকেরা তাদের উপর লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হয়ে মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।