রায়গঞ্জ: কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের টাকা তছরুপ সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পোস্টার দিলেন গ্রামবাসীরা। রায়গঞ্জ ব্লকের ৪ নম্বর বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান লায়লা খাতুনের স্বামী তথা প্রাক্তন উপপ্রধান মনসুর আলির বিরুদ্ধে বিন্দোলের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার পড়েছে। এদিকে, মনসুর আলি এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েও প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও তার স্বামী উন্নয়ন না করে একাধিক দুর্নীতি করেছে। এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট না পেয়ে জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন। সেজন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে পোস্টার দেওয়া হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে কংগ্রেস প্রার্থী মনসুর আলির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দা রুহেদা খাতুন বলেন, ‘মনসুর তিনবার দল বদল করল। এবছর আবার কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন। ভালো ছেলে বলে ভরসা করেছিলাম, কিন্তু ভুল হয়েছিল আমাদের। আমরা কেউ ভোট দেব না ওকে।‘
উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন মনসুরবাবুর স্ত্রী লায়লা খাতুন। এরপরই তিনি প্রধান হন। এক বছর যেতে না যেতেই তার বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে ওঠে। বিন্দোলে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা প্রধান সহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হন। অবশেষে গ্রেপ্তার হন প্রধান। মনসুর সাহেব ২০১৩ সালে কংগ্রেসের বোর্ড থাকাকালীন উপপ্রধান ছিলেন। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসের প্রার্থী হন তিনি। বিন্দোলে বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনের হাতে গোনা বাকি মাত্র ৮ দিন, তার আগে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অর্থ নয়ছয়ের পোস্টার পড়ায় চাপে পড়েছেন দলীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব।