ফুলবাড়ি: ফের গেরুয়া রং করা হল মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের মূল গেটে। ধূপগুড়ি বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রাম পঞ্চায়েতের গেটে গেরুয়া রংয়ের ওপর নীল রং করে দেওয়া হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। ঘটনা জানাজানি হতেই ওই রাতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে এলাকায় আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
শনিবার গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের মূল গেটে ফের গেরুয়া রং করা হয়েছে। এবিষয়ে বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান জয়ন্ত দে বলেন, ‘গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের কোথায় কোন রং করা হবে, তা আমরা পঞ্চায়েত সদস্য ও অফিসের অন্যান্যরা মিলে সিদ্ধান্ত নেব। প্রধান গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের প্রধান। পঞ্চায়েতের ভালোর জন্য প্রধান সকলের মত নিয়ে অনেক কিছু করতে পারেন।’
তাঁর অভিযোগ, মাথাভাঙ্গা-২ সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা সাবলু বর্মন বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে মাথা ঘামিয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছেন। জয়ন্তবাবু বলেন, ‘কয়েকদিন আগে নিউ চ্যাংরাবান্ধায় তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক অফিসে মিটিং করে দলীয় কর্মীদের সুরসুরি দিয়ে শান্ত বড় শৌলমারিকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন সাবলু। প্রধানের কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা চলছে। ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ের পর রাতের অন্ধকারে চোরের মত এসে তৃণমূল কংগ্রেসের হার্মাদরা সরকারি প্রতিষ্ঠানের গেটে নীল রং করেছে। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই শুক্রবার গ্রাম পঞ্চায়েতের মূল গেটের রং ফের গেরুয়া করা হয়েছে।’
এবিষয়ে মাথাভাঙ্গা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবলু বর্মন বলেন, ‘গ্রাম পঞ্চায়েতটি মাথাভাঙ্গা-২ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত। তাই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে কী কাজ হচ্ছে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসেবে সেই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার আমার আছে। প্রধান নিজের খেয়াল খুশিমতো গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের গেটে গেরুয়া রং করে বিজেপির ছাপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতাকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।’
সাবলু বর্মন বলেন, ‘তিন চার দিন বা এক সপ্তাহের মধ্যে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের মূল গেটের গেরুয়া রং সরিয়ে নীল সাদা করা না হলে, আমরা আগামী দিনে সরকারিভাবে পদক্ষেপ নেব।’