উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কোচবিহারে (Cooch Behar) বিজেপি নেত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এবার সেই বিতর্কের আঁচ গিয়ে পড়েছে বিধানসভায়ও। ঘটনার সিবিআই (CBI) তদন্ত চেয়ে বিধানসভা চত্বরে ধর্নায় বসতে চায় বিজেপির (BJP) পরিষদীয় দল। জানা গিয়েছে, এনিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছেন বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ। ধর্নায় বসার জন্য অধ্যক্ষের অনুমতি চেয়ে ওই চিঠি পাঠিয়েছে বিজেপি।
পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) বাংলায় টিম পাঠানোর আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও জাতীয় মহিলা কমিশনকে। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘এটি সভ্য সমাজের লজ্জা। আমার সঙ্গে বোনের কথা হয়েছে। তার পাশে আমরা সবাই আছি। বিজেপির মহিলা বিধায়করা সোমবার থেকে বিধানসভার গেটে ধর্নায় বসবেন। আমাদের দিদিভাইরা সোমবার থেকে ধর্নায় বসছেন এই অত্যাচারের সিবিআই তদন্তের দাবি করে। অধ্যক্ষ দুটি চোখ খোলা রাখবেন, একটি চোখ অন্তত বন্ধ করবেন না।’ এদিকে ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। স্থানীয় পুলিশকে যথাযথ ধারায় এফআইআর রুজু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন।
প্রসঙ্গত, কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকে বিজেপির সংখ্যালঘু নেত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই বিজেপি নেত্রী কোচবিহারের এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, নির্যাতিতার বাবা দীর্ঘদিনের বিজেপি কর্মী। নির্যাতিতাও বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা কমিটির সদস্যা। অভিযোগ, তিনি যখন ছাগল চড়াতে যান, সেইসময় তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর করেন কয়েকজন মহিলা। এমনকি তার গায়ের কাপড় খুলে তাঁকে বিবস্ত্র করেও পেটানো হয়। গোটা ঘটনা জানিয়ে তিনি ঘোকসাডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এবিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা মাথাভাঙ্গা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবলু বর্মনের সাফাই, এটা পারিবারিক বিবাদ। আর সেই ঘটনায় বিজেপি রাজনৈতিক রং লাগিয়ে বদনাম ছড়াতে চেষ্টা করছে।’ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।