জামালদহ: কোচবিহারের (Cooch Behar) জামালদহ বাসস্ট্যান্ডে (Jamaldaha bus stand) একাধিক মহিলাকে আটকে রাখার অভিযোগ ঘিরে হুলুস্থুলকাণ্ড। ওই মহিলাদের ঘিরে রীতিমতো চলে বিক্ষোভ। সেই ঘটনার তথ্য উদঘাটন করতে গিয়ে এমন এক কাহিনী সামনে এল যা হার মানাবে সিনেমার গল্পকেও।
অভিযোগ, ধূপগুড়ির (Dhupguri) বাসিন্দা এক মহিলা নিজের স্বামী ও সন্তান থাকা সত্ত্বেও তা গোপন রেখে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে তোলেন জামালদহের এক যুবকের সঙ্গে। এক মাস আগে তিনি পালিয়ে জামালদহে এসে সামাজিক মতে যুবককে বিয়েও করে নেন। বিয়ের সময়ও মহিলার প্রথম বিয়ের কথা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী। বৃহস্পতিবার ওই মহিলার বাড়িতে হঠাৎই হাজির হন ধূপগুড়ির একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জনা পনেরো মহিলা। তাঁদের অভিযোগ, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে মোটা টাকা ঋণ নিয়েছিলেন সদ্য বিবাহিত ওই মহিলা। অবিলম্বে সেই ঋণের টাকা ফেরত চেয়ে হট্টগোল শুরু করে দেন তাঁরা।
এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এরপর স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা চলে গেলে ঘরে স্ত্রীকে অচৈতন্য হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন ওই যুবক। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে জামালদহ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। মনে করা হচ্ছে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। বর্তমানে সেই গৃহবধূ মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। এদিকে ওই যুবক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সেই মহিলাদের দলকে জামালদহ বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি সমেত আটকে রাখেন বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে তাদের জামালদহ পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়। গৃহবধূর স্বামী জানান, তাঁদের বাড়িতে বিষ ছিল না। বন্ধ ঘরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা তাঁর স্ত্রীকে বিষ খাইয়েছে। অপরদিকে ধূপগুড়ি থেকে আসা ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বিষ খাওয়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁদের বক্তব্য, ‘আমরা শুধুমাত্র মহিলাকে টাকার কথা বলতে এসেছি। আমরা কেন বিষ খাওয়াব। আমরা বাড়ি থেকে চলে আসার পর ঠিক কি হয়েছে তা জানি না।’ জামালদহ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনীভূষণ সরকার জানিয়েছেন, ওই মহিলাদের আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।