কোচবিহার: বিহার থেকে লরিতে চেপে কোচবিহারে ঢুকছে কচি তাল। বেশকিছুদিন ধরেই কোচবিহার শহরের নানা জায়গায় ফুটপাথে বসে সেই তালের শাঁস বিক্রি করছেন কয়েকজন বিক্রেতা। এখানে আগে খুব একটা তালশাঁস পাওয়া যেত না। তবে ডাওয়াগুড়ির কয়েকজন বাসিন্দার সৌজন্যে এখন তা মিলছে। পাইকারের মাধ্যমে তাঁরা বিহার থেকে তাল কিনে নিয়ে আসছেন। কাটারি দিয়ে সেগুলি দক্ষ হাতে কেটে বিক্রি করছেন তাঁরা। কোচবিহারের সিলভার জুবিলি রোড সহ কয়েকটি জায়গায় এরকম দোকান রয়েছে।
গরমের মরশুমে মাস দুয়েক তালের শাঁস পাওয়া যায়। কোচবিহার ও সংলগ্ন এলাকায় তাল চাষ সেভাবে না হলেও দক্ষিণবঙ্গের নানা জেলা ও বিহারে বাণিজ্যিকভাবে প্রচুর তালের চাষ হয়। সেখান থেকেই লরিতে চেপে কোচবিহারে তাল নিয়ে আসা হচ্ছে। দাঁ দিয়ে কচি তাল কেটে ভিতর থেকে সাদা অংশটি বের করা হয়। গরমে সেই শাঁস স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী বলেই বিক্রেতাদের দাবি।
কয়েকবছর আগে পর্যন্ত কোচবিহারে তালের শাঁস সেভাবে জনপ্রিয়তা পায়নি। ডাওয়াগুড়ির কয়েকজন বাসিন্দা, যাঁদের কেউ টোটোচালক আবার কেউ গাছ কাটার পেশায় যুক্ত, তাঁরা উদ্যোগ নিয়ে এই সময় তাল নিয়ে আসেন। বিক্রেতারা জানান, প্রতি পিস তাল ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই তালে ৩-৪টি করে শাঁস থাকে। আবার খোলা শাঁস খেতে চাইলে একটি শাঁস ১০ টাকায় মিলছে। যাঁরা দোকানে শাঁস কিনে খাচ্ছেন তাঁরা খোলা শাঁসই কিনছেন। আবার যাঁরা বাড়িতে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা গোটা তাল কিনে সেটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। বিক্রেতা সফিকুল মিয়াঁ জানান, গরমের সময় মাস দুয়েক তালের শাঁস বিক্রি হয়। প্রতিদিন ৩০০-৪০০টি তাল বিক্রি হচ্ছে।
পুষ্টিবিদদের কথায়, কচি তালের শাঁস রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। এতে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সালফার, ম্যাঙ্গানিজ, কপার ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো বেশকিছু উপাদান রয়েছে, যা চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও চোখের অ্যালার্জি কমায়। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতেও তালের শাঁস কাজে দেয়।