গৌরহরি দাস, কোচবিহার: বাণেশ্বরে পর্যটন ব্যবস্থার প্রসারে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হবে দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ডের অধীনে থাকা কোচবিহারের (Coochbehar) ঐতিহ্যবাহী বাণেশ্বরের শিব মন্দিরকে (Baneshwar Temple)। তবে শুধু মন্দিরকে অত্যাধুনিক আলোকমালায় সাজিয়ে তোলা নয়, পর্যটকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে মন্দির চত্বরে থাকা গেস্টহাউস এবং ধর্মশালাটিকে সংস্কারের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ড সূত্রে খবর, খুব তাড়াতাড়ি এই কাজ শুরু হবে।
কী কী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে? দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ডের (Debuttor Trust Board) অন্যতম সদস্য তথা কোচবিহারের সদর মহকুমা শাসক কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাণেশ্বরের শিব মন্দিরকে ফ্যাসাড লাইটে সাজিয়ে তোলা হবে। মন্দির চত্বরে গেস্টহাউস রয়েছে। সেখানে সামনের দিকে থাকা ডর্মিটরিগুলিকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। গেস্টহাউসটিকে সংস্কার করে অত্যাধুনিক করে তোলা হবে।’
কোচবিহার-২ ব্লকের বাণেশ্বরে রয়েছে জেলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিব মন্দির। এই মন্দির চত্বরে থাকা শিবদিঘির বাসিন্দা মোহনের টানে দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা বাণেশ্বরে ভিড় জমান। ফলে বাণেশ্বর জায়গাটি কোচবিহারের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। দিনের বেলা মন্দির এবং মন্দির চত্বর ভালোভাবে ঘুরে দেখা গেলেও পর্যাপ্ত আলোর অভাবে রাতের বেলায় মন্দিরে ঘুরতে সমস্যা হত। এ নিয়ে পর্যটকরা অনেকদিন ধরে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন। সেই সমস্যা মেটাতেই শিব মন্দিরটি ফ্যাসাড আলোয় মুড়ে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ড।
সেইসঙ্গে বাণেশ্বরে পর্যটকদের থাকার মতো তেমন কোনও ভালো গেস্টহাউস কিংবা লজও সেরকম নেই। সেজন্য পর্যটকদের থাকার ইচ্ছা থাকলেও জায়গার অভাবে অনেকেই সেখানে থাকতে পারতেন না। মন্দির চত্বরের গেস্টহাউস এবং ধর্মশালাটিকে সংস্কার করে অত্যাধুনিক করে তোলার দাবি অনেকদিনের। সেই দাবি মেনে গেস্টহাউসের ঘরগুলোর আয়তন বাড়ানো হবে। সেইসঙ্গে নতুন কিছু আসবাবপত্র যোগ করে ঘরগুলোর ভোল বদলে দেওয়া হবে।
দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে খুশি কোচবিহারের আমজনতা। তাঁদের মধ্যে একজন দীপ কার্জি বলেন, ‘বাণেশ্বরের অর্থনীতির একটা বড় অংশ পর্যটন ব্যবস্থার ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর এই পর্যটন ব্যবস্থা মূলত বাণেশ্বরের শিবমন্দির এবং মোহনকে ঘিরে গড়ে উঠেছে। বাণেশ্বরের শিব মন্দিরকে ফ্যাসাড আলোয় সাজানো এবং গেস্টহাউসটির সংস্কার করা হলে এলাকার পর্যটন ব্যবস্থার যথেষ্ট প্রসার ঘটবে বলে মনে করি।’