পুণ্ডিবাড়ি: ধর্ষিতা নাবালিকার মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছে তাঁর গ্রাম। এদিন মৃত্যুর সংবাদ গ্রামে পৌঁছতেই গোটা এলাকায় ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা একাধিক জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ শুরু করেন। মূল অভিযুক্ত বাপ্পা বর্মন, মৃণাল সরকার, সুশান্ত দাস ওরফে রাণার বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালান ক্ষুব্ধ জনতা। যদিও সে সময় অভিযুক্তদের বাড়িতে কেউই ছিলেন না। ঘটনার পরদিন থেকেই সকলেই পলাতক। ঘটনাস্থলে পুণ্ডিবাড়ি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছলে ক্ষিপ্ত জনতা লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে পুলিশকে তাড়া করে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জেলা পুলিশের ডিএসপি হেডকোয়ার্টার চন্দন দাস পৌঁছলে তারও গাড়িতে চড়াও হয় জনতা। এরপর আরও বাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এদিন স্থানীয় বাসিন্দারা কিশোরীর দেহ নিয়ে যাওয়ার সময় মৃতদেহ আটকে দেন। তাদের দাবি ছিল, যতক্ষণ বাপ্পা বর্মনের বাড়িঘর ও পরিবারের লোক এখানে আছে ততক্ষণ মৃতদেহ এখান থেকে নিয়ে যেতে দেবেন না তাঁরা। সেসময় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। যদিও পরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মৃতদেহ ওই কিশোরীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ির পাশেই নির্যাতিতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। স্থানীয় রঘু দাস, অশোক সিংহদের অভিযোগ, অভিযুক্তরা এলাকায় সমাজবিরোধী হিসেবে পরিচিত। তারা বিভিন্ন সময়ে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। মূল অভিযুক্ত বাপ্পা বর্মনের পরিবারকে ওই এলাকায় থাকতে দেবেন না বলেও জানান ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।