হরিশ্চন্দ্রপুর : মিড ডে মিলে (Mid day meal) দুর্নীতি করার জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছে। আর তাতে মদত দিচ্ছেন স্কুল পরিদর্শক (School Inspector)। এমনকি বৈঠক চলাকালীন স্কুল পরিদর্শকের উসকানিতে প্রতিবাদী প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে কয়েকজন সহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে স্কুল পরিদর্শক এবং সহশিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন বিশেষভাবে সক্ষম এক প্রধান শিক্ষক।
ঘটনাটা হরিশ্চন্দ্রপুরের কোরিয়ালী সার্কেলের দুবোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রিয়াজুল হকের অভিযোগ, তিনি এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করার আগে বর্তমান সহ-শিক্ষক সফিকুল ইসলাম প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার সামলাতেন। স্কুলে রয়েছে মোট ৫০ জন ছাত্র। তার মধ্যে প্রত্যেকদিন স্কুলে আসত ৫ থেকে ১০ জন। অভিযোগ, সফিকুল ইসলাম সেই সময় স্কুল তহবিলের টাকা থেকে শুরু করে মিড ডে মিল নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন। মিড ডে মিলের খরচ বেশি করে দেখানো হয়েছে। মিড ডে মিলের চাল বিক্রি করে পিকনিকে খরচ করা হয়েছে। গড়মিল করেছে গ্যাস সিলিন্ডারে।
রিয়াজুল বাবু প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার নেওয়ার পর সমস্ত দুর্নীতিটা বুঝতে পারেন। সেই সময় সহশিক্ষক সফিকুল ইসলাম এবং ভাস্কর মণ্ডল গরমিল ঢাকতে স্কুলের হিসেবের একটি খাতায় স্বাক্ষর করতে চান। তাদের বাধা দিলে বিবাদের সূত্রপাত হয়। আরও বিস্ফোরক অভিযোগ, ওই সার্কেলের স্কুল পরিদর্শক মণিরুল ইসলামকে এই অভিযোগ জানালে তিনি কোন কর্ণপাত করেন নি। এরপর থেকে সফিকুল ইসলাম ক্রমাগত রিয়াজুল হককে হুমকি দিতে থাকেন। সম্প্রতি স্কুল পরিদর্শক তার দপ্তরে একটি মিটিং ডাকলে সেখানে সফিকুল ইসলাম, ভাস্কর মণ্ডল এবং কোরিয়ালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান এবং সহ শিক্ষক নাসিমুল হক স্কুল পরিদর্শকের উস্কানিতে তার সামনেই রিয়াজুল হককে ব্যাপক মারধর করেন বলে অভিযোগ। রিয়াজুলের কথায়, ‘ওরা কয়েকজন মিলে ব্যাপকভাবে দুর্নীতি করছেন ওই সার্কেলে। আমার স্কুলেও দুর্নীতি করেছে। আমি এসব কাজে বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছি। চার দিন ধরে আতঙ্কে বাড়ি ফিরতে পারিনি। তাই সুরাহা চেয়ে ব্লক সহ জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।’ যদিও মণিরুল ইসলামের পালটা অভিযোগ, ওই শিক্ষক ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন, তিনি নিজেই দুর্নীতিতে যুক্ত। সহ শিক্ষকরাও পালটা অভিযোগ করেছেন ওর বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে বিডিও তাপস পাল জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।