ভোপাল: প্রেমিক যুগলকে গুলি করে খুন করে দেহে পাথর বেঁধে কুমির-ঘড়িয়াল ভর্তি নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। শিউরে ওঠার মতো ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলার রতনবাসাই গ্রামে। মৃতদের নাম শিবানী তোমর (১৮) এবং রাধেশ্যাম তোমর (২১)। অভিযোগ, সম্পর্কে আপত্তির কারণে মেয়েটির পরিবারের লোকজন তাঁকে ও তাঁর প্রেমিককে নৃশংসভাবে খুন করেছে। পুলিশ এটাকে অনার কিলিং বলে মনে করছে। অভিযুক্তরা তাদের দোষ কবুল করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবানীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রাম বালুপুরার যুবক রাধেশ্যামের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এতে তীব্র আপত্তি ছিল তরুণীর পরিবারের। যে কারণে তাঁদের দুজনকে প্রথমে গুলি করে খুন করে মেয়েটির পরিবার। পরে তাঁদের দেহ ভারী পাথরের সঙ্গে বেঁধে কুমির-ঘড়িয়াল ভর্তি চম্বল নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
রাধেশ্যামের বাবা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার পর গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। তিনি তাঁর ছেলে এবং ওই তরুণীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করেন। তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, দুজনকে খুন করা হয়েছে। এরপরই পুলিশ তদন্তে নেমে শিবানীর বাবা ও আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে। বেশ কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা অপরাধ স্বীকার করে। জেরায় ভেঙে পড়ে তরুণীর পরিবার পুলিশকে জানায়, প্রেমিক যুগলকে ৩ জুন রতনবাসাই গ্রামে গুলি করা হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। যুগলকে খুন করে দেহ চম্বল নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। দেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। প্রসঙ্গত, চম্বল ঘড়িয়াল অভয়ারণ্যে ২ হাজারেরও বেশি ঘড়িয়াল এবং ৫০০টি কুমির রয়েছে।