কোচবিহার: তরুণীকে খুনের ঘটনায় মণিকা বর্মন (৫৩) নামে এক মহিলাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল কোচবিহার আদালত। ২০১৩ সালে ২১ বছরের ওই তরুণীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে মহিলার বিরুদ্ধে। তার ছেলের সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তারপর দীর্ঘদিন এই মামলা চলে। অবশেষে সাজা ঘোষণা হয়। সাজা ঘোষণার পর মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবী শিবেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি করা হয়েছিল। সবদিক খতিয়ে দেখে বিচারক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।’
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার-২ ব্লকের পূর্ব গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন মৃতা তরুণী। পাশ্ববর্তী বোকালিরমঠের বাসিন্দা চন্দন বর্মন তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে তরুণী ওই বাড়িতেই থাকতো। এরপর কর্মসূত্রে চন্দন অসম চলে যায়। কাজ থেকে ফেরার পর তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই চন্দনের পরিবার তরুণীর উপর অত্যাচার চালাতো বলে জানা গিয়েছে। ২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তরুণীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয় চন্দনের মা মণিকা বর্মন। স্থানীয়রা তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ৫ মার্চ সে মারা যায়।
বুধবার কোচবিহার জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুকুলকুমার কুন্ডুর এজলাসে মামলাটি তোলা হলে মূল অভিযুক্ত মণিকাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে অভিযুক্তের তরফের আইনজীবী রাজীব দাস বলেন, ‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে।’