গাজোল: এক বেসরকারি স্কুলের হস্টেলের ছাত্রদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল স্কুলেরই সাত জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গাজোলের রেলস্টেশন এবং হাসপাতাল সংলগ্ন সবুজপল্লী এলাকায়। ঘটনা জানাজানি হতেই বুধবার সন্ধ্যে থেকে স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকেরা। তীব্র আতঙ্কে রয়েছে বলে জানিয়েছে স্কুলের ছাত্ররা। এদিন অনেক ছাত্রকে অভিভাবকেরা হস্টেল থেকে বাড়ি নিয়ে চলে যান। ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।
গাজোলের হাসপাতাল সংলগ্ন স্টেশন রোড এলাকায় রয়েছে ওই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাদান করা হয় আবাসিক এই স্কুলে। স্কুলের ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থিত হস্টেলে থাকে প্রায় দেড়শ জন ছাত্র। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুর দুটো থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত হস্টেলে থাকা প্রায় সব ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করে বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষক। হোস্টেলে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে এবং কাপড় দিয়ে ঢেকে চলে এই মারধরের ঘটনা। বেত, জলভর্তি বোতল, লাঠি, জলের পাইপ এর টুকরো, বেল্ট দিয়ে বেধড়কভাবে ছাত্রদের পেটানো হয়। এদিন স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, যে কয় জন ছাত্র হস্টেলে রয়েছে তাদের শরীরের নানা স্থানে রয়েছে অত্যাচারের ক্ষতচিহ্ন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোজাফফর আনসারির দাবি, তাঁর স্কুলকে বদনাম করার জন্যই ওই ৭ জন শিক্ষক এই ধরনের জঘন্য কাজ করেছে। গতকাল রাতেই স্কুলের শিক্ষক সুরজিৎ দাস, হীরালাল সাহা, প্রসেনজিৎ সরকার অভিজিৎ ঝাঁ, আশিস সরকার, রাবিউল সামি, এবং সুব্রত ফৌজদারের বিরুদ্ধে গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাশাপাশি আহত ছাত্রদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত শিক্ষকেরা। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে গাজোল থানার পুলিশ।