বহরমপুর: সিপিএম এবং তৃণমূল কর্মীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার সদানন্দপুর এলাকা। অভিযোগ আজ সকাল থেকে সদানন্দপুরে বিভিন্ন বুথ জ্যাম করে ভোট করছিল সিপিআইএম কর্মীরা। খবর পেয়ে দুপুরে এলাকাতে পৌঁছে যান হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ, জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী জিল্লার রহমান, পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী মীর আলমগীর সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা। সেই সময় তাদের ঘিরে ব্যাপক বোমাবাজি এবং গাড়ি লক্ষ্য করে ইঁট বৃষ্টি শুরু হয়। হামলায় তৃণমূলের কমপক্ষে তিনজন কর্মী গুরুতর আহত হন। আহতদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তৃণমূল প্রার্থী মীর আলমগীর বলেন, ‘হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখকে নিয়ে আমরা সদানন্দপুর গ্রামে যাই। কিন্তু সেই সময় হঠাতই আমাদের লক্ষ্য করে বোমা এবং গুলি চালাতে শুরু করে সিপিএমের লোকেরা। সিপিএমের লোকেরা বিধায়কের গাড়ি সহ আরও তিনটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়।’
অন্যদিকে অপর একটি ঘটনায়, হরিহরপাড়া থানার শাহজাদপুরের ২৩০ নম্বর বুথের মধ্যে ঢুকে ভাঙচুর করে ব্যালটে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাম-কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বাম কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি শামসুজ্জোহা বিশ্বাস বলেন, ‘আজ সকাল থেকে ওই বুথে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলছিল। কিন্তু হঠাতই বাম-কংগ্রেস দুষ্কৃতীরা বুথে ঢুকে ভোট কর্মীদের কাছ থেকে ব্যালট পেপার এবং অন্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভোটে জিততে পারবে না বলেই তারা এই কাজ করেছে।’ এই প্রসঙ্গে সিপিআইএমের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই। সারা রাজ্যে তথা আমাদের জেলাতে শাসকদল যেভাবে অত্যাচার চালিয়েছে মানুষ তার প্রতিবাদ করেছে। এটা তাদের নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দলের জের।