উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ‘পরকীয়া ফৌজদারি অপরাধ নয়’, পাঁচ বছর আগে এই রায় দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। কিন্তু এবার পরকীয়াকে ফের ফৌজদারি অপরাধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে দণ্ড সংহিতা সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটি। এই নিয়ে কেন্দ্রকে তারা সুপারিশও করেছে। বিয়ে নামক পবিত্র বন্ধনকে রক্ষা করতেই এই সুপারিশ বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। যদিও কমিটির এই সুপারিশের তীব্র সমালোচনা করে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তৃণমূলের দাবি, এই সুপারিশ এনে সুপ্রিম কোর্টের অবমাননা করা হয়েছে।
ব্রিটিশ আমলের ভারতীয় দণ্ডবিধিকে সময় উপযোগী করে তুলতে চলতি বছরের বাদল অধিবেশনের ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, নাগরিক সুরক্ষা ও সাক্ষ্য অধিনিয়ম এই তিনটি বিল আনে নরেন্দ্র মোদি সরকার। লোকসভায় বিলগুলি পেশ করার পর তা সংসদের স্থায়ী কমিটিতে আলোচনার জন্য পাঠিয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা।
ভারতীয় দণ্ডবিধিতে পরকীয়া সম্পর্কে বলা হয়েছে, বিবাহিত কোনও মহিলা স্বামীকে না জানিয়ে কোনও ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক করলে তা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। সেক্ষেত্রে তাঁর পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। ব্রিটিশদের তৈরি করা এই আইনকে সেকেলে, একতরফা ও বৈষম্যমূলক বলে জানিয়ে দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। এই আইন মহিলাদের মর্যাদাকে খর্ব করেছে বলেও উল্লেখ করেছিল আদালত।
সূত্রের খবর, ব্রিটিশ আমলের এই আইনকেই নতুন মোড়কে ফিরিয়ে আনতে সবুজ সংকেত দিয়েছে সংসদের স্থায়ী কমিটি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিয়ের মতো পবিত্র প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে ওই ধারা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে ব্রিটিশ আমলের আইনে শুধু মাত্র স্বামীরাই পরকীয়ার অভিযোগ আনতে পারতেন। সেই নিয়মে বদল ঘটাতে চাইছে কেন্দ্র সরকার। এক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই একে অপরের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ আনতে পারবেন বলে নতুন বিলে রাখা হয়েছে।