কাজিগ্রামঃ রাতের অন্ধকারে ফের দুষ্কৃতী (Criminals) তাণ্ডব মালদায় (Malda)। সোমবার গভীর রাতে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে পরপর তিনজন তরুণকে মারধর করে বাইক, মোবাইল সহ নগদ টাকা ছিনতাই করল একদল দুষ্কৃতী। এমনই ঘটনায় ইংরেজবাজার থানার কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর সংলগ্ন তালবোনা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ওই তিন তরুণকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে মালদা মেডিকেলে।
আহতদের একজন হলেন সুব্রত মণ্ডল (৩০)। তাঁর বাড়ি অমৃতি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহনপাড়া এলাকায়। অপর দুজনের নাম নাবিউল হক (৩৬) এবং মহম্মদ তাসলেম শেখ (৩৮)। এই দুইজনের বাড়ি মোথাবাড়ি থানার সাদিপুর এবং উত্তর লক্ষ্মীপুর এলাকায়। ঘটনার অভিযোগ পেয়ে কাজিগ্রামে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
আক্রান্ত সুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘সোমবার রাতে আত্মীয়ের বাড়ির অনুষ্ঠান থেকে চণ্ডীপুর এলাকার রাজ্য সড়ক ধরেই বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ করে কাজিগ্রামের তালবোনা এলাকার সড়কে ৮ থেকে ১০ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী আমাকে ঘিরে ধরে। আচমকা বাইক থামিয়ে বাঁশ দিয়ে মারতে শুরু করে। আমার সঙ্গে থাকা দামি বাইক ছিনতাই করে দুষ্কৃতীরা। কোনওরকমে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে পালিয়ে বেঁচেছি আমি। দুষ্কৃতীদের প্রত্যেকের হাতেই ছিল ধারাল অস্ত্র।’
আহত নাবিউল হক এবং মহম্মদ তাসলেম শেখ জানিয়েছেন, মালদা শহর থেকে ব্যবসার কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। প্রায় দিনই চণ্ডীপুরের ওই রাস্তা দিয়ে তাঁরা মোথাবাড়ি যান। কিন্তু হঠাৎ করে গতকাল রাতে একদল দুষ্কৃতী তাঁদের ঘিরে ধরে। বাইক ছিনতাই করে ব্যাপক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। অন্ধকারের মধ্যে আমবাগানে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের কাছে থাকা নগদ ৩২ হাজার টাকা এবং তিনটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় কোনওরকমে সেখান থেকে তাঁরা খানিকটা পথ হেঁটে গ্রামবাসীদের সাহায্য নেন। খবর দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের। দুই পরিবারের সদস্যরা এসে নাবিউল হক ও মহম্মদ তাসলেম শেখকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুষ্কৃতীদের খোঁজ শুরু করা হয়েছে। মোটরবাইকগুলি উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এদিকে গ্রামবাসীর অভিযোগ, এমন ছিনতাইয়ের ঘটনায় এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছে এলাকাবাসীরা। যদিও এই ঘটনার পর ইংরেজবাজার থানার পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালায়।