ঘোকসাডাঙ্গা: এলাকাবাসীর সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছিল বক্স কালভার্ট। আর নির্মাণের তিন মাস যেতে না যেতেই ভেঙে পড়ল সেই কালভার্ট। এড় ফলে ক্ষোভ জমছে এলাকাবাসীর মধ্যে। প্রশ্ন উঠছে, কী কারণে এত নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছে? কার স্বার্থে সরকারি টাকার অপচয় করা হচ্ছে? ঠিকাদারের নাকি প্রকল্পে কাজ হচ্ছে তা ভোট ব্যাংকের রাজনীতি? এইসব প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফুঁসছেন মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাউদেরবস, পুটিমারি এলাকার বাসিন্দারা। এব্যাপারে কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুমিতা বর্মনের কথায়, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।‘
মাথাভাঙ্গা ২ ব্লক মূলত কৃষি নির্ভর এলাকা হিসেবে বেশ পরিচিত। গ্রামের কৃষিজ পণ্য সরবরাহ থেকে স্থানীয় মানুষের চলাচলের উপযোগী রাস্তা দীর্ঘদিন থেকে বেহাল অবস্থায় পড়েছিল। বর্ষা এলে দুর্ভোগ চরমে ওঠে। স্থানীয় মানুষের সুবিধার কথা মাথায় রেখে কোচবিহার জেলা পরিষদের আর্থিক সহযোগিতায় সেই রাস্তা প্রায় ১০ মাস আগে তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার প্রায় তিন মাসের মধ্যে প্রথম বর্ষায় কালভার্টের দুই দিক ভেঙে পড়ে। কার্যত যে উদ্দেশ্যে কালভার্টটি তৈরি হয়েছিল তা মুখ থুবড়ে পড়ে। ফলে স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। কালভার্টে কম সামগ্রী ব্যবহার, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে এই কাজ করার ফলেই এই ঘটনা বলে মনে করছে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা বাসুদেব সরকার, মায়ারানি অধিকারী, টুম্পা সরকার, দিলীপ সরকাররা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের সুবিধা হওয়ার পরিবর্তে অসুবিধা বেড়েছে। কারণ জমির ফসল ভ্যান, টোটোতে করে নিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার ঘুরে বাজার বা অন্যত্র নিয়ে যেতে হয়।‘
লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মালা অধিকারীর কথায়, ‘কালভার্টটি তৃণমূল ক্ষমতায় থাকার সময়ে তৈরি হয়েছিল। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।‘ বিজেপি নেতা তথা মাথাভাঙ্গার বিধায়ক সুশীল বর্মনের কথায়, ‘তৃণমূল মানেই দুর্নীতি আর কাটমানি। জেলা পরিষদের বরাদ্দ অর্থে এমন কালভার্ট তৈরি হল যা তৈরির তিন মাসের মধ্যেই ভেঙে পড়ল।‘