উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ (DA arrear case) সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ) (Dearness Allowance) মামলার শুনানি। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে এই মামলার শুনানি হবে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে। শীর্ষ আদালতের ইতিবাচক রায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। ডিএ সংক্রান্ত এই মামলাটি ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে চলছে শীর্ষ আদালতে।
২০২২ সালের নভেম্বরে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ‘স্পেশাল লিভ পিটিশন’ দাখিল করে রাজ্য। তারপর থেকে ডিএ সংক্রান্ত মামলাটি একাধিকবার শীর্ষ আদালতে সেই মামলা উঠেছে। কিন্তু বারবার পিছিয়ে গিয়েছে মামলার শুনানি। গত বছর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলাটির বিস্তারিত শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও পিছিয়ে যায় শুনানি। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আশায়া রয়েছেন এবার বিস্তারিতভাবে শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।
এই মামলা প্রসঙ্গে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে পড়ে থাকায় খানিকটা হতাশ রাজ্য সরকারি কর্মীরা। আমরা আশা রাখছি, এবার মামলাটি পূর্ণাঙ্গভাবে শুনবেন বিচারপতিরা।’
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীরা পাচ্ছেন না ডিএ। বকেয়া রয়েছে ডিএ। ফলে প্রাপ্য আদায়ে মামলার পথে যায় রাজ্য সরকারি কর্মীরা। ২০১৬ সাল থেকে সেই মামলা শুরু হয়েছে। বকেয়া ডিএয়ের দাবিতে প্রাথমিকভাবে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইনবুনালে (স্যাট) মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সেই মামলায় তাঁরা ধাক্কা খায়। তারপর মামলাটি যায় হাইকোর্টে। তারপর থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিএ মামলায় জিতেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে নির্দেশ দেয় তিন মাসের মধ্যে কর্মীদের প্রাপ্য বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। তাতে কোনও লাভ হয়নি। তারইমধ্যে মানহানির মামলা দায়ের করে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন। তারপর সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করে রাজ্য।