গাজোল: প্রবল বৃষ্টিতে ফুঁসছে টাঙন নদী। বেশ কিছু জায়গায় বাঁধ প্লাবিত করে ঢুকছিল নদীর জল। তবে এলাকাবাসীদের আশঙ্কা ছিল জলের চাপে যে কোন সময় ভেঙে যেতে পারে বাঁধ। অবশেষে গ্রামবাসীদের আশঙ্কা ই সত্যি হল। জলের প্রবল চাপ সহ্য করতে না পেরে তিন জায়গায় ভেঙে গেল টাঙন নদীর বাঁধ। বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় রবিবার থেকে প্রবল গতিতে জল ঢুকতে শুরু করেছে বসতি এলাকায়। জলের তলায় চলে যেতে বসেছে একের পর এক গ্রাম। তলিয়ে গেছে ফসলের জমি। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন চাপ নগর এবং শালাইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষেরা। পর্যাপ্ত পরিমাণ নৌকো না থাকার জন্য উদ্ধারকার্য চালাতে যথেষ্ট সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনকে। প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বন্যাকবলিত এলাকার মানুষজন এবং গবাদি পশুগুলোকে নিয়ে আসা হচ্ছে ত্রাণ শিবিরে।
চাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীপু ওঁরাও জানালেন, গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টির জেরে চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কদুবাড়ি, মাথা মোড়া এবং পিরালুতলায় টাঙন নদীর বাঁধ ভেঙেছে। নদীর জলে প্লাবিত হচ্ছে বৈর ডাঙি, ডোবা খোকসান, কদুবাড়ি, মাথামোড়া, পিরালুতলা সহ একের পর এক গ্রাম। জলের তলায় চলে গেছে সমস্ত কৃষি জমি। হাজার হাজার মানুষ চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হচ্ছে ত্রাণশিবিরে। বন্যার সামগ্রিক পরিস্থিতি আমরা ব্লক প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। দুর্গত মানুষগুলির পাশে দাঁড়ানোর জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। দুর্গত মানুষদের জন্য বিতরণ করা হচ্ছে ত্রিপল। দেওয়া হচ্ছে শুকনো খাবারও। দুর্গতদের খাবারের জন্য চালু করা হয়েছে কমিউনিটি কিচেন। পাশাপাশি এই দিন সকাল থেকেই গাজোল ব্লক অফিস থেকে বিভিন্ন প্লাবিত এলাকার মানুষদের জন্য চলছে ত্রাণ বিলির কাজ। সব মিলিয়ে গাজোল ব্লকের ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অবস্থা সব থেকে ভয়াবহ।