জটেশ্বর: প্রায় ১৫ বছরেও তৈরি হয়নি পাড়বাঁধ। পঞ্চায়েত ভোটের মাত্র এগারো দিন বাকি। স্থানীয়দের একমাত্র দাবি পূরণ না হওয়ায় এবার ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত ধনীরামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সরুগাঁও চা বাগানের দুটি বুথের।
সরুগাঁও চা বাগানের ৩২ ও ৩৪ নম্বর বুথে আদিবাসী জনজাতি ও নেপালি জাতিগোষ্ঠীর বসবাস। গ্রামটির শেষ প্রান্তে রয়েছে ডুডুয়া নদী। নদীভাঙনে প্রায় ১৫ বছর ধরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিজমি ও গাছ বাগান। অনেকের ভিটেও তলিয়ে গিয়েছে নদীতে। স্থানীয়রা পাড়বাঁধের দাবি জানিয়েও ভোটের সময় মিলেছে শুধু আশ্বাস। তাই এবার আর কোনও রাজনৈতিক দলের ওপর ভরসা রাখতে না পেরে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন স্থানীয়রা।
নেপালি বস্তির বাসিন্দা লক্ষ্মী ছেত্রী বর্মন বলেন, ‘ভোট আসলেই নেতারা এলাকায় আসেন। এবার কোনও নেতাকে আমরা এখানে প্রচার করতে দেব না। প্রশাসনের তরফে যদি আমাদের লিখিত মুচলেকা দেওয়া হয় তাহলে আমরা ভোট দেব নাহলে নয়।’ অনুপ প্রধান বলেন, ‘এবারে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাকে আমরা ভোট প্রচার করতে দেব না। ২৫০টি পরিবার ভোট বয়কটের পথেই থাকব।’
এদিকে এগারো দিনের মাথায় ভোট। প্রার্থীদের প্রচার ঠিক শেষ মুহূর্তে। সেইসময় ভোট বয়কটের ডাক দেওয়ায় ওই দুই বুথে ব্যাকফুটে রয়েছে সব রাজনৈতিক দল। ভোটের মুখে স্থানীয়দের এই হুঁশিয়ারিতে কিছুটা হলেও স্তম্ভিত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। তবে সব দলেরই প্রার্থীরা জানান, স্থানীয়দের ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত থেকে সরিয়ে আনার জন্য আলোচনা করা হবে। এদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, বিরোধীরা সেখানকার মানুষকে উসকিয়ে এমনটা করছে। শাসকদল সব সময় সেখানকার মানুষের জন্য রয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের দাবি, বিগত ১০ বছরে সামান্য একটা পাড়বাঁধের কাজ তৃণমূল করে দেখাতে পারেননি। তারা সাধারণ মানুষের কোনও উপকার চায় না। এ বিষয়ে ফালাকাটার বিডিও সুপ্রতীক মজুমদার বলেন, ‘বিষয়টি দেখছি’।