উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ শিলিগুড়ির পর এবার পাহাড়। শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় ছাত্রী খুনের ঘটনায় এবার ২৪ ঘণ্টার পাহাড় বনধের ডাক দিল পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলি। শনিবার বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে। এই বনধ ডেকেছে বিমল গুরুং-এর নেতৃত্বাধীন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (জিজেএম), কমিউনিস্ট পার্টি অফ রেভল্যুশনারি মার্কসিস্ট (সিপিআরএম) এবং অজয় এডওয়ার্ডসের নেতৃত্বাধীন হামরো পার্টি।
শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় ১৭ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় বুধবার উত্তপ্ত হয়েছিল শিলিগুড়ি। সেই ঘটনার আঁচ পড়ে পাহাড়েও। উত্তপ্ত হয় পাহাড়ের পরিস্থিতিও। ছাত্রী খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টার শিলিগুড়ি বনধের ডাক দিয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। যদিও ওই বনধের বিরোধিতা করে তৃণমূল। শিলিগুড়ি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বনধের ব্যপক প্রভাব পড়ে। একই ইস্যুতে শনিবার পাহাড়ে ২৪ ঘন্টার বনধ ডেকেছে বিমল গুরুং-এর নেতৃত্বাধীন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (জিজেএম), কমিউনিস্ট পার্টি অফ রেভল্যুশনারি মার্কসিস্ট (সিপিআরএম) এবং অজয় এডওয়ার্ডসের নেতৃত্বাধীন হামরো পার্টি। একই ইস্যুতে শনিবার ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দেয় গোর্খা সেবা সেনা নামে নতুন একটি দল। দার্জিলিং শহরের বেশ কয়েকটি অরাজনৈতিক সংগঠনও শনিবার সন্ধ্যায় একটি সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
সিপিআরএম নেতা শেখর ছেত্রী বলেন, ‘মেয়েটি এবং তার পরিবারের ন্যায়বিচারের দাবিতে আমাদের এই বনধকে সমর্থন করা জন্য পাহাড়বাসীর কাছে আবেদন করছি।’ হামরো পার্টির নেতা পুরান তামাং বলেন, ‘মৃত স্কুল ছাত্রী গোর্খা সম্প্রদায়ের সদস্য। তাই আমরা পাহাড়ে আমাদের সকল ভাই ও বোনদের এই দাবিকে সমর্থন করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’