কোচবিহার: থামল লড়াই, ছয়-সাত দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে মৃত্যু হল যৌন নির্যাতনের শিকার কিশোরীর। কোচবিহার ২ ব্লকের খাপাইডাঙ্গার বাসিন্দা সে। বুধবার সকালে কোচবিহারের এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নির্যাতিতার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন কিশোরীর পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি ডক্টর রাজীব প্রসাদ জানান, এদিন সকালে ওই কিশোরী মারা যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ জুলাই ওই কিশোরী স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। পরিবারের অভিযোগ, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাঁকে ফুঁসলে অপহরণ করে মাথাভাঙায় নিয়ে যায় এক যুবক। সেখানে সে কিশোরীর ওপর যৌন নির্যাতন চালায়।
এদিকে, মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় বাড়ির লোকজন খোঁজখবর শুরু করেন। কিন্তু কিশোরীর হদিস না পেয়ে ২০ জুলাই পুন্ডিবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। এরপর ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিশ বাপ্পা বর্মন সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সূত্রের খবর, নির্যাতনের ফলে কিশোরী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে তাঁকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কোচবিহারের একটি নার্সিংহোম হয়ে ২০ জুলাই মাঝরাতে মেয়েটিকে কোচবিহার এনজেন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেই খবর উত্তরবঙ্গ সংবাদ ও উত্তরবঙ্গ সংবাদের নিউজ পোর্টালে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে জেলার প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন প্রায় সংজ্ঞাহীন থাকার পর এদিন সকালে মারা যায় কিশোরী।