নিশিগঞ্জ: দরিদ্র মেধাবী পড়ুয়ার একাদশে ভর্তির টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন স্কুল কতৃপক্ষ। শুধু তাই নয় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে বইপত্রসহ বাকি খরচের কিছু দায়িত্ব স্কুলের শিক্ষকরাই সামলাবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছেন। মঙ্গলবার এমনই খবরে স্বস্তির হাওয়া নিশিগঞ্জ খেজুরতলা নিশিময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী দীপা ভৌমিকের পরিবারে।
দীপা এবার মাধ্যমিকে (Madhyamik Results 2024) ৬২২ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়েছে। দীপার বাবা নেই। মা প্লাইবোর্ডের জন্য পাতি কাটার কাজ করেন। দিনে পঞ্চাশ থেকে একশো টাকা উপার্জন হয়। তাই দিয়েই চলে মা-মেয়ের খাওয়া খরচ। এবার উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায় দীপা। ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়াই লক্ষ্য। আর এই স্বপ্ন পূরণে প্রধান বাধাই হল অর্থ।
সোমবার স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয় সে। আর তখনই শিক্ষকদের নজরে আসে দীপার করুণ আর্থিক অবস্থার কথা। দীপার মা বলেন, ‘পাতি কেটে সামান্য আয় হয়। সঙ্গে ভাতার এক হাজার টাকা পাই। সেই দিয়ে সংসার চলে না। মেয়ের পড়াশোনার খরচ কোথা থেকে আসবে সেই দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটছে।’ দীপার পরিবারের এই আর্থিক অবস্থার কথা জানতে পেরে এদিন নিশিময়ী হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ এগিয়ে এসেছে। দীপা যাতে বিনা খরচে স্কুলে পড়তে পারে সেই উদ্যোগ নিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম পোদ্দার। আর কয়েকজন প্রাইভেট টিউটরও এই মেধাবী ছাত্রীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।