মুরতুজ আলম, সামসী: এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেল সোয়া চারটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে সামসী সংলগ্ন বালিয়া বিনোদপুর গ্রামে।কংগ্রেসের মারে গুরুতর জখম হয়েছেন মহম্মদ আলাউদ্দিন নামে ওই তৃণমূল কর্মী। তাঁর বাড়ি ওই গ্রামেই। আলাউদ্দিনের একটি হাত ও একটি পা ভেঙেছে বলে অভিযোগ। ঘটনা কেন্দ্র করে এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে রতুয়া থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রতুয়া-১ ব্লকের ভাদো গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিয়া বিনোদপুর গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ আলাউদ্দিন। মতিগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে তাঁর একটি মুদি দোকান রয়েছে। এদিন বিকেলে দোকানে যাওয়ার জন্য বালিয়া গ্রামে টোটো ধরেন আলাউদ্দিন।
অভিযোগ, কুশরাক্ষা ব্রিজের কাছে টোটো থামান পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থী আজিজুল হক। অভিযোগ, তিনি টোটো থেকে আলাউদ্দিনকে কলার ধরে নামান। এরপর অকথ্য গালিগালাজের পাশাপাশি তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। অভিযোগ, ব্রিজের ওপর থেকে ওই তৃণমূল কর্মীকে নীচে ফেলে দেওয়ারও চেষ্টা করেন আজিজুল। এমনকি গুলি করে প্রাণে মারারও হুমকি দেওয়া হয়।
এরপর বাঁচার জন্য বালিয়া গ্রামের দিকে ছুটতে থাকেন আলাউদ্দিন। এমন সময় আজিজুলের ভাই পিছন থেকে বাইকে চেপে এসে তাঁকে ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে পড়ে যান। অভিযোগ, সেই সময় আজিজুল ও তাঁর ভাই বাইদুল মিলে ফের তাঁকে মারধর করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। অভিযুক্তরা পুলিশ দেখে চম্পট দেয়।
পুলিশ আলাউদ্দিনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রতুয়া ব্লক হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। বর্তমানে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। তাঁর ডান পা ও ডান হাতের আঙুল ভেঙেছে। ভোটে হারার ক্ষোভেই এই হামলা বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।
এবিষয়ে আজিজুল হক সহ দশ কংগ্রেস কর্মীর বিরুদ্ধে রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মহম্মদ আলাউদ্দিন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তরা পলাতক।
এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য ফজলুল হক বলেন, ‘আমাদের দলের কর্মী আলাউদ্দিনকে মারধর করেছে কংগ্রেস কর্মীরা। বিষয়টি পুলিশকে দেখতে বলা হয়েছে।’
অন্যদিকে, রতুয়া-১ ব্লকের কংগ্রেস নেতা মহম্মদ হেসামুদ্দিনের বক্তব্য, ‘যত দূর শুনেছি পারিবারিক বিবাদের দেরেই ওদের দুজনের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে এদিন। সব কিছুর সঙ্গে রাজনীতিকে জড়ানো ঠিক নয়। শাসকদল কংগ্রেসের বদনাম করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।’