নাগরাকাটা: ২০০১ এর ৩০ জুনের পর থেকে ২০১৭ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত গড়ে ওঠা উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র চা চাষি ও প্রোজেক্ট চা বাগানগুলির জমির স্থায়ী বন্দোবস্ত করে দেওয়া নিয়ে ভূমি ও ভুমি সংস্কার দপ্তরের তরফে গত এপ্রিলে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এবার ক্ষুদ্র চা চাষিদের সর্বভারতীয় সংগঠন কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (সিস্টা) চাইছে জমির কনভারশন ও লিজ দেওয়ার বিষয়টির সরলীকরণ হোক। পাশাপাশি ওই বাবদ হেক্টর পিছু যে পরিমাণ টাকা ধার্য করা হয়েছে সেটাও ক্ষুদ্র চাষিদের সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসার আর্জি জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি, ওই দুই মূল দাবিতে রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে সিস্টার পক্ষ থেকে। সংগঠনের সভাপতি বিজয় গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘দীর্ঘ ২২ বছর পর ক্ষুদ্র চা চাষিদের জমি নিয়ে রাজ্য সরকার সুস্পষ্ট নীতি গ্রহণ করার বিষয়টিকে আমরা আগেই স্বাগত জানিয়েছি। তবে কনভারশন কিংবা লিজের ক্ষেত্রে যে সেলামি ধার্য করা হয়েছে সেটা সামান্য আয়ের চাষিদের সাধ্যের বাইরে। ওই পরিমাণ কমানো উচিত। পাশাপাশি জমির কনভারশনের জন্য চাষিদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদনের সঙ্গে যে সমস্ত নথিপত্র চাওয়া হয়েছে তা প্রায় কারও কাছেই নেই। এই বিষয়টির সরলীকরণ না করা হলে উদ্দেশ্য ব্যহত হবে।’
গত ৫ এপ্রিলের সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তি দু’ধরনের জমিতে গড়ে ওঠা চা বাগানের জন্য আলাদা করে জারি করা হয়। একটি রায়তি ও অপরটি খাস। রায়তি জমির ক্ষেত্রে চা চাষের জন্য জমির কনভারশনের হেক্টর পিছু দর ধার্য করা হয় ২৫ হাজার টাকা। অন্যদিকে সরকারি খাস জমিতে গড়ে ওঠা চা বাগানের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি লিজ বাবদ হেক্টর পিছু সেলামি ধার্য করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এর বাইরে দিতে হবে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর নির্ধারিত বার্ষিক খাজনা। বিজয় গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘দাবির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখা ছাড়াও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে যাতে সচেতনতা শিবির করা হয় এমন অনুরোধও ভূমি দপ্তরের কাছে করা হয়েছে।’