সামসী: খুনের ২৪ ঘণ্টা পরেও অধরা দুষ্কৃতীরা। দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ক্রমশ জোরাল হচ্ছে প্রতিবাদ। বুধবার চাঁচল-২ ব্লকের জালালপুরে গ্রামীণ সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এলাকার বাসিন্দারা। বিক্ষোভের জেরে অবরুদ্ধ হয় গ্রামীণ সড়ক। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃত সাইদুরের পরিবার সহ প্রতিবেশীরা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই গুলির আঘাতে মৃত্যু হয় সাইদুরের। পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাঁদের আরও অভিযোগ, দোষীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। অবিলম্বে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যতক্ষণ না পুলিশ এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করছে ততক্ষণ তাঁদের এই বিক্ষোভ আন্দোলন চলবে। যদিও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন বাসিন্দারা।
মালতীপুরের বিধায়ক তথা শাসকদলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বকসি ক্ষোভের সঙ্গে জানান, কংগ্রেসের লোকজন ষড়যন্ত্র করে সাইদুরকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে খুন করেছেন। মৃত সাইদুর রহমান ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের একজন কর্মী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের ওপর আক্রমণ, বাড়ি ভাঙচুর করে যাচ্ছে কংগ্রেসিরা। এই জমি বিবাদকে ঘিরে জালালপুরে কেউ খুন হতে পারে তা গত চারদিন আগেই এসপি সাহেবকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা সত্যিই ঘটে গেল।
মালতীপুরের প্রাক্তন কংগ্রেসি বিধায়ক আলবেরুনী তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘রাজনীতির রং জড়িয়ে এলাকা দখল করার চেষ্টা করছে শাসকদল। এদিন যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তারা প্রত্যেকে তৃণমূলের। ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।‘
উল্লেখ্য, জমি বিবাদে মঙ্গলবার সাতসকালে শুট আউটের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে জালালপুর এলাকায়। ঘটনাস্থলে প্রচুর মানুষের জমায়েত হয়। জমি বিবাদে প্রকাশ্য দিবালোকে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে মারা হয় এক যুবককে। তারপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়।