কলকাতা: আদালতের নির্দেশের পরও মেলেনি চাকরি। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ৬২ জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের বক্তব্য, হাইকোর্ট চার মাস আগে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনও কাউকে চাকরি দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মঙ্গলবার দ্রুত শুনানির আর্জি করা হয় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। চলতি সপ্তাহে মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
মামলাকারীদের অভিযোগ, এনসিটিই’র নির্দেশিকা অনুযায়ী, স্নাতক স্তরে উপযুক্ত নম্বর থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে দেয়নি পর্ষদ। এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ৭৪ জন চাকরিপ্রার্থী। মামলার শুনানিতে গত ১০ এপ্রিল চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি বসু। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, মামলকারীদের তথ্য যাচাই করে জুন মাসের মধ্যে চাকরি দিতে হবে। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও ওই প্রার্থীদের পর্ষদ চাকরি দেয়নি বলে অভিযোগ। এমনকি পর্ষদের কাছে আবেদন করেও কোনও লাভ হয়নি। সেকারণেই এবার আদালতের দ্বারস্থ হন ৬২ জন চাকরিপ্রার্থী।