উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ৫০ লক্ষ টাকা সংক্রান্ত শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পোস্ট ঘিরে সকাল থেকে তুঙ্গে বিতর্ক। এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু কিছু নথি পোস্ট করে লিখেছিলেন ‘দেবের কীর্তি’। এবার সেই টাকার হিসেব দিলেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারী ওরফে দেব (Dev)। বিঁধলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)।
তাঁর প্রযোজনা সংস্থা ‘দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেনচার্স প্রাইভেট লিমিটেড’ ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিল ‘আরণ্যক ট্রেডার্স’-এর থেকে। ছবিনির্মাণের পর সেই টাকা ফেরতও দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে সেখানে কোনও ‘সন্দেহজনক’ লেনদেন নেই। এদিন সেই হিসাবের ‘লেজার বই’-এর নথি প্রকাশ করে হিসাব দিলেন দেব। একটি ‘লেজার অ্যাকাউন্ট’-এর পৃষ্ঠা নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন তিনি। পোস্টে দেব লিখেছেন, ‘সিনেমার জন্য লগ্নি করেছিলেন। সিনেমা রিলিজের পর ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’ অর্থাৎ, দেব বলতে চেয়েছেন, ছবির জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি ওই অর্থ লগ্নি বা বিনিয়োগ করেছিল। তারপর তা ফেরতও দিয়ে দেওয়া হয়।
এরপরই নাম না করে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে দেব লিখেছেন, ‘এই যে ডক্টরবাবু, আমার লেজার।’
সিনেমা জন্য লগ্নি করেছিলেন
সিনেমা রিলিজের পর ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়েছিল…এই যে ডক্টর বাবু 😉
আমার Ledger https://t.co/n8B0pIW8D9 pic.twitter.com/I5jerWKXEa— Dev (@idevadhikari) May 23, 2024
প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর এক্স হ্যান্ডলে কিছু নথি পোস্ট করে লেখেন, ‘দেবের কীর্তি’। ‘আরণ্যক ট্রেডার্স’ নামে একটি সংস্থার লেজার অ্যাকাউন্টের হিসেব ছিল সেই নথিতে। তার উপরে ছিল অন্য একটি সংস্থার নাম।
শুভেন্দুর পোস্ট করা লেজার অ্যাকাউন্টের তথ্য অনুযায়ী, ‘আরণ্যক ট্রেডার্স’ থেকে দেবের সংস্থার ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে ২০১৬ সালের ২৪ এবং ২৫ নভেম্বর ২৫ লক্ষ টাকা করে মোট ৫০ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে। অন্য একটি জায়গায় দেখা যাচ্ছে, একটি ডায়েরির পাতায় হাতে লেখা ‘দেব মোবাইল: ৭২ হাজার টাকা’ এবং ‘দেব ঘড়ি: ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা’। পাশেই একটি পাতায় ছাপানো অক্ষরে ইংরেজিতে লেখা ‘দেব মোবাইল অ্যান্ড দেব ওয়াচ’। ডায়েরির পাতায় উল্লিখিত পরিমাণ অর্থের উল্লেখ রয়েছে ছাপা অক্ষরের পৃষ্ঠাতেও। পালটা দেবের পোস্টে আরণ্যককে ৫০ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গোরু পাচার মামলার তদন্তে দেবকে সিবিআই এবং ইডি ডেকেছিল। তিনি হাজিরাও দেন। শুভেন্দু জানিয়েছেন, তাঁর পোস্ট করা ডায়েরির পাতা গোরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের। হিরণের দাবি, ‘আরণ্যক’ এনামুলের সংস্থা। তবে দেব এই প্রশ্নও তুলেছেন, যে নথি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে থাকার কথা, তা শুভেন্দুর হাতে গেল কী করে? শুভেন্দুর পোস্ট ‘রিপোস্ট’ করে হিরণ লিখেছিলেন, ‘বিচার আপনাদের, সিদ্ধান্ত আপনার নিজের’। দুপুরে হিরণের সেই পোস্ট উল্লেখ করেই লেজার প্রকাশ্যে আনলেন দেব।