উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইডির তলবের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না তৃণমূলের যুবনেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের। এই ঘটনায় সংবাদমাধ্যম থেকে সোশ্যাল মিডিয়া, সর্বত্রই আলোচনার শীর্ষে ছিলেন সায়নী। শুক্রবার সকাল থেকেই গল্ফগ্রিনে সায়নী ঘোষের ফ্ল্যাটের বিল্ডিংয়ের সামনে মানুষের ভিড়। ভোর থেকে প্রাতঃ ভ্রমণকারীরাও ডান দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে সায়নীর ফ্ল্যাটের দিকে তাকিয়ে দেখছেন। কী হতে চলেছে! সায়নীকে নিয়ে সকলের মধ্যেই উৎসাহ খানিকটা বেশি। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, কুন্তলের টাকাতেই কি ফ্ল্যাট কিনেছেন সায়নী? নইলে ইডির তলব কেন? অবশেষে সিজিও কমপ্লেক্সে সায়নী হাজিরা দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শান্তি পেল গল্পগ্রিন।
সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে সায়নর। প্রথমদিকে এলাকায় খুব একটা নামডাক ছিল না তাঁর। দু-একটি ছোট প্রোডাকশন হাউসে অভিনয় করে কিছুটা নামডাক হয়েছিল তাঁর। তার পর থেকে আরও কিছুটা উত্থান হয়েছিল সায়নীর। ২০২১ সালে নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে আসানসোল দক্ষিণ থেকে বিধানসভায় নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলের বিরুদ্ধে লড়াইয়েই শামিল হন। নির্বাচনে জয়ী হতে না পারলেও নজর কাড়ে তৃণমূল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। নির্বাচনে হেরেও তিনি ২০২১ সালে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ পদের দায়িত্ব পান। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন কুন্তল ঘোষ।
সেই থেকেই কুন্তলের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে সায়নীর। সূত্রের খবর, কুন্তল সায়নীকে গল্ফগ্রিনের ফ্ল্যাট কিনতে মোটা অংকের আর্থিক সাহায্য করেছিলেন। এছাড়া বালিগঞ্জে সায়নীর ফ্ল্যাট, অফিসের ভাড়া গুনতেন কুন্তল। কুন্তল ইডির হেপাজতে থাকাকালীন সায়নীর কীর্তি প্রকাশ্যে আসে। একের পর এক কীর্তি প্রকাশ্যে আসতেই কিছুটা সময়ের জন্য রাজনীতি থেকে অন্তরালেই থাকেন অভিনেত্রী। পরবর্তীতে অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচী শুরু হওয়ার মাসখানেক আগে থেকে ফের সক্রিয় ভাবে রাজনীতির মঞ্চে দেখা যায় সায়নীকে। গত ২৭ জুন রাত সাড়ে এগারোটায় সায়নী ইডির চিঠি পান। তারপর থেকেই রীতিমতো লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান সায়নী।
এদিকে ইডির তলবের চিঠি পেতেই ২৮ জুন সায়নী ৩৩ পল্লীর দুর্গাপুজোর খুঁটি পুজোতে যাওয়ার অনুষ্ঠানও বাতিল করে দেন। একে একে জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার করা বাতিল করে দিয়েছেন। নিজেকে আত্মগোপন করে ফেলেন। তিনি কোথায় আছেন? দলীয় লোকেরা যোগাযোগ করে তাঁকে পাচ্ছেন না। কিন্তু গেলেন কোথায় তিনি? সকাল থেকে তাঁর বাড়ির দারোয়ানকে জিজ্ঞাসা করলে, কোনও ভাবে তিনিও কিছু বলতে পারছেন না। শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে সায়নী ইডির মুখোমুখি হওয়ার কথা তাঁর। তিনি কি ইডির মুখোমুখী হবেন? এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করতে থাকে সাধারন মানুষের মধ্যে। অবশেষে ইডির দপ্তরে সায়নী হাজির হওয়ার পরই অনেকটাই স্বস্তি ফেরে দলীয় কর্মী সহ অনুগামীদের মধ্যে। সূত্রের খবর, সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনের একটা দল তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে একজন মহিলা ইডি অফিসার রয়েছেন
