দিনহাটা: কোচবিহার (Coochbehar) জেলার সাহেবগঞ্জ এলাকায় এক মহিলা তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতার নামে অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। ওই মহিলার দাবি, দিন কয়েক আগে স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে এক নেতার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলেন। তিনি যেতে না চাওয়ায় তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়, এমনকি বাড়ি ভাঙচুরও করা হয় তাঁর। এরপর ওই মহিলা সাহেবগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মহিলার এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। আর তারপরই এদিন বিকেলেই অভিযোগকারী মহিলার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখালেন কোচবিহার জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। এই ঘটনায় দিনহাটার হাড়িভাঙা গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যদিও দিনহাটা পুলিশের এসডিপিওর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাওয়ায় কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এদিনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন কোচবিহার মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী শুচিস্মিতা দত্ত শর্মা, দিনহাটা-১ বি ব্লক সভানেত্রী ডালিয়া চক্রবর্তী, মৌমিতা ভট্টাচার্য প্রমুখ। মহিলার অভিযোগ প্রসঙ্গে শুচিস্মিতা দত্ত শর্মা বলেন, বিজেপির এক মহিলা কর্মী মন্ত্রী উদয়ন গুহ সহ তৃণমূলের দুই ব্লক সভাপতির নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। এমনকি থানাতেও অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে এসেছি। মহিলা সন্দেশখালির কায়দায় মিথ্যা অভিযোগ করে তৃণমূল কংগ্রেসকে কলুষিত করার চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, কোচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ এলাকার এক মহিলা তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতার নামে অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। ওই মহিলার দাবি, দিন কয়েক আগে স্থানীয় কয়েকজন তৃনমূল কর্মী তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে এক নেতার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলেন। তিনি যেতে না চাওয়ায় তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়, এমনকি বাড়ি ভাঙচুরও করা হয় তাঁর।এরপর ওই মহিলা সাহেবগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
যদিও এ প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘সন্দেশখালিকে সামনে রেখে এখন নতুন পিঠে-কাহিনী চালু করেছে বিজেপি। কোনও নেতাই রাত বারোটা তো দূরের কথা, রাত ১০ টার পর বাইরে থাকেন কিনা, জানি না। পিঠে খাওয়ার বয়স আর নেই। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।’