গৌতম দাস, তুফানগঞ্জ: জোড়া মাশান ও জোড়া কালীপুজোর আয়োজন করল তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের অন্দরান-ফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতভাইপাড়া তালগুড়িরপাড় জোনাকু ধাম। শনিবার এ উপলক্ষ্যে ‘রাজবংশী সমাজের ইতিহাস ও সংস্কৃতি চর্চা’ বিষয়ে আলোচনাচক্র অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজবংশী ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল বোর্ডের (Development and Cultural Board) চেয়ারম্যান বংশীবদন বর্মন, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Vice Chancellor) দীপককুমার রায়, লোকসংস্কৃতি (Folklore) গবেষক দিলীপকুমার বর্মা, হলেশ্বর বর্মা, নির্মলকুমার বর্মা প্রমুখ।
রাজবংশী (Rajbanshi) সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে পূর্বপুরুষদের নামে আলাদা আলাদা দশটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হয়। সেগুলির এদিন আবরণ উন্মোচন করেন বংশীবদন বর্মন। ১৭৮০-’৯০ দশকের জোনাকু বর্মা অন্দরান-ফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনশো একর জমির মালিক ছিলেন। জোনাকু বর্মার স্ত্রী, সাত পুত্র ও এক কন্যা সহ মোট দশজনের নামে স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হয়। জোনাকুর বংশের বর্তমান বংশধর নির্মলকুমার বর্মা জানান, রাজবংশী সমাজের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে (Culture) টিকিয়ে রাখতে পূর্বপুরুষদের স্মৃতিসৌধের আবরণ উন্মোচন করা হয়। অন্যরা যাতে অনুপ্রাণিত হয় সেজন্য পুজো ও মেলার আয়োজন করা হল। অসম সহ নানা এলাকার গবেষকরা এই আলোচনায় অংশ নেন। মাশানপুজো উপলক্ষ্যে আলোচনাচক্রে আমন্ত্রণ পেয়ে খুশি বংশীবদনবাবু। রাজবংশী সমাজের উপাস্য দেবতা মাশান ঠাকুর।