হিলি: হিলি রেল প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের জন্য ২৯৯ কোটির প্রস্তাব পাঠাল জেলা প্রশাসন। বুধবার দুপুরে জেলা ভূমি অধিগ্রহণ দপ্তর উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের আধিকারিকের হাতে প্রস্তাবপত্র তুলে দেয়। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রেলের তরফে নির্ধারিত জমির মূল্য জেলা প্রশাসনকে পাঠানো হবে বলে রেল সূত্রে খবর। জমি অধিগ্রহণের মূল্য পেলেই ক্ষতিপূরণ বিলির জন্য অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই নথি সংগ্রহ শুরু করতে চায় জেলা প্রশাসন।
দীর্ঘদিনের আন্দোলনের জেরে ২০১০ সালে বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণ প্রকল্পের ঘোষণা করেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে কেটে গিয়েছে ১৩ বছর। কিন্তু ওই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ বিশবাঁও জলে। ওই প্রকল্পের বাস্তবায়নের দাবিতে ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় গত নভেম্বর মাসে দ্রুত বালুরঘাট হিলি রেল প্রকল্প সম্প্রসারণের নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তারপরেই ওই প্রকল্পের কাজ শুরু করে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল ও জেলা প্রশাসন। বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত ২৯.৭ কিলোমিটার রেলপথ সম্প্রসারণের জন্য ৩৮৬.৪১৬ একর জমি চিহ্নিত করা হয়। ওই জমি অধিগ্রহণের জন্য সমীক্ষা করে জেলা ভূমি অধিগ্রহণ দপ্তর। চিহ্নিত জমিতে স্ট্রাকচার ও গাছের সমীক্ষা করে পূর্ত ও বন দপ্তর। সমস্ত দপ্তরের নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ মূল্য একত্রে করে ২৯৮ কোটি ৭২ লক্ষ টাকার প্রস্তাব দিল জেলা প্রশাসন।
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, ’আমরা রেলের কাছে ফান্ডের প্রস্তাব পাঠিয়েছি। ২৯৮ কোটি টাকা জমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফান্ড পেলেই জমির জন্য নথি নেওয়া ও অন্যান্য প্রক্রিয়া শুরু হবে।‘ উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের মূখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘ফান্ডের প্রস্তাবের চিঠি এখনও হাতে আসেনি। তবে চিঠি পেলে আমরা খতিয়ে দেখব। জমি অধিগ্রহণের হয়ে গেলেই রেলমন্ত্রক কাজ শুরু করবে। অন্তত ৮০ শতাংশ জমি পেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।‘