উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শীত আসার আগে হেমন্তকালে অনেকেই শ্বাসকষ্টে ভোগেন। শ্বাসনালী, ব্রঙ্কিয়াল টিউবের প্রদাহ বাড়ে, ক্রমশ মুশকিল হয়ে ওঠে সুস্থভাবে শ্বাস নেওয়া। এই পরিস্থিতিতে কী করা উচিত?
প্রথমত, অতি অবশ্যই পুজোর আগে-পরে একবার ডাক্তার দেখিয়ে সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করবেন। হাতের কাছে রাখবেন ওষুধপত্র, ইনহেলার। সাধারণত অ্যাস্থমা বা সিওপিডি রোগীদের দু’ রকম ওষুধ থাকে – একটা প্রতিরোধমূলক, অন্যটা রোগের আক্রমণ হলে তা নির্মূল করার জন্য। দু’ ধরনের ওষুধই হাতের কাছে রাখবেন। অফিসেও যখন-তখন অ্যাটাক হতে পারে। যে সব জিনিসপত্র খেলে আপনার শরীরে ইনফ্লামেশন বা অ্যালার্জি বাড়তে পারে, সেগুলি থেকে দূরে থাকুন। ধীরে-সুস্থে, ভালো করে চিবিয়ে খাবার খান, খাওয়ার আগে জল খেয়ে গলা ভিজিয়ে নেবেন। বিষম লাগলে বা কাশি আরম্ভ হলে কিন্তু শ্বাস নিতে বেশি কষ্ট হবে। প্রতিটি মিলের সঙ্গে মরশুমি ফল বা শাকসবজি খাওয়াটাও জরুরি, তাতে পুষ্টিগুণ পাওয়ার পাশাপাশি শরীর ভিতর থেকে শক্তপোক্তও হয়ে উঠবে।
ব্যায়াম করুন নিয়মিত। বিশেষ করে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ও মাসলের জোর বাড়ায় এমন ব্যায়াম করলে উপকার পাবেন। খুব সকালে উঠে মর্নিংওয়াকেও যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। বেলা বাড়লে, রোদ উঠলে বাইরে বেরোন। ঘরের ভিতরে যেন ধুলো না জমে, সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখবেন। ধুলো-ময়লায় কিন্তু আপনার সমস্যা আরও বাড়বে। ধূমপান বন্ধ করতে হবে, ধূমপায়ী বন্ধুবান্ধবের থেকেও দূরে থাকার চেষ্টা করুন – অন্তত আপনার উপস্থিতিতে যেন ঘরের মধ্যে কেউ সিগারেট না খান। বিকেল পাঁচটার পর আর চা বা কফি খাবেন না, তাতে রাতের ঘুমের বিঘ্ন ঘটতে পারে। আপনার সুস্থ থাকার জন্য কিন্তু ঘুম একান্ত অপরিহার্য। প্রতিদিন শুতে যাওয়ার আগে আর ঘুম থেকে ওঠার পর ভেপার নেওয়ার অভ্যেস তৈরি করুন। গরম জলের ভাপে আপনার শ্বাসনালী পুরো পরিষ্কার থাকবে এবং চট করে সর্দি-কাশির সমস্যা ভোগাবে না।