উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল বনাম শিক্ষামন্ত্রীর সংঘাত নতুন নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে শিক্ষা দপ্তরের দ্বৈরথ লেগেই রয়েছে বেশ কয়েকমাস ধরে। রাজ্যপালের সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোট থেকে দত্তপুকুরের বিস্ফোরণ নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে বেনজির আক্রমণ করেছে তৃণমূল। এবার রাজভবনকে ফের কড়া বার্তা দিয়ে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে বুদ্ধদেব সাউকে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। তা নিয়ে রাজ্যপালকে উজবুক বলে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। এবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ থেকে নাম না করে বাংলার সাংবিধানিক প্রধানকে একপ্রকার হুঁশিয়ারিই দিয়ে রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল যেভাবে উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন তাতে ঘোর আপত্তি মমতার। এদিন তিনি বললেন, ‘সব বিশ্ববিদ্যালয়ের টালমাটাল অবস্থা। নিজের বন্ধুকে এনে উপাচার্য করে বসিয়ে দিচ্ছেন।’ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, তিনি রাজ্যপালের পদকে সম্মান করেন। কিন্তু রাজ্যপাল যেভাবে ‘সংবিধান উলঙ্ঘিত করছেন’ তা একেবারেই না পসন্দ মমতার।
সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে উপাচার্যের দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। নতুন উপাচার্য বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে মনে করে তৃণমূল। এই উপাচার্য নিয়োগ নিয়েই আপত্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ থেকে মমতা বললেন, ‘যাদবপুরে বিজেপি সেলের প্রেসিডেন্টকে উপাচার্য করে বসিয়ে দিয়েছেন।’
এদিনের বক্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে তার এক্তিয়ার বুঝিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আপনার এক্তিয়ারে আমরা যাচ্ছি না। দয়া করে আমাদের এক্তিয়ারে আসার চেষ্টা করবেন না। মনে রাখবেন আপনি মনোনীত আর আমি নির্বাচিত জন প্রতিনিধি। তাই নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে যেন পাঙ্গা না নেওয়া হয়।’ মমতার সাফ বক্তব্য, এটা ‘মগের মুলুক’ নয় এবং যা ইচ্ছে তাই করা যাবে না।