উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: এবার সরাসরি আরএসএসকে আর্জি মমতার। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের দলীয় কর্মসূচি থেকে আরএসএসকে মমতার অনুরোধ, ‘দেশের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকারক লোকটিকে আর সমর্থন দেবেন না।’
আরএসএসের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্বলতা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো রয়েছে। অধীর চৌধুরী মহম্মদ সেলিমরা প্রায়শই এনিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করেন। আরএসএস-এর একাংশের মধ্যেও মমতার প্রতি সমর্থন রয়েছে বলে জল্পনা রয়েছে। একসময় আরএসএসের মুখপত্রে মমতাকে দুর্গার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল। বিরোধীরাও বারবার বলেন, মমতার রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গে আরএসএসের সংগঠনের বাড়বাড়ন্ত চোখে পড়ার মতো। তাই এদিন মমতার আর্জিকে ধরে বিরোধী শিবিরের অনেকেই দুয়ে-দুয়ে চার করছেন।
এদিন নেতাজি ইনডোরে দলের সাংগঠনিক বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় তিনি জানান, কদিন আগে ছট পুজোর দিন গঙ্গার ঘাটে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে দেখেন একটা ক্যাম্পের সামনে আরএসএস লেখা। সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতা আরএসএসের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা ধর্ম করুন, আমার কোনও আপত্তি নেই। আমার আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও কিছু বলার নেই। কিন্তু দেশের জন্য যে লোকটা সবচেয়ে ক্ষতিকারক তাঁকে আর সাপোর্ট দেবেন না।” গৈরিক সংগঠনটির উদ্দেশ্যে মমতা বলেন,
“আপনারা বিভিন্ন সময়ে অনেককে সমর্থন করেছেন। কিন্তু এই লোকটাকে প্লিজ আর সাপোর্ট করবেন না। জগাই আর মাধাই। দেখলেই মনে হয় খেতে আসছে!”
মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি কারও নাম না করলেও নিশানায় কে তা বুঝতে অসুবিধে হয়নি। আরএসএসের একাংশ মোদি-শায়ের কাজে অখুশি বলেই জল্পনা রয়েছে। মমতা এই আর্জির মাধ্যমে আরএসএসের সেই অংশকেই বার্তা দিতে চাইছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপির নীতি ও আদর্শের উপর আরএসএসের প্রভাব অনস্বীকার্য। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পদেও থাকেন আরএসএসের প্রচারকরা। তবে অনেকে মনে করেন মোদি-শায়ের জমানায় সেই ব্যবস্থা কিছুটা দুর্বল হয়েছে। দলে আরএসএসের দখল কমেছে অনেকটাই। ফলে মমতা সেই জায়গাটাকেই ধরতে চেয়েছেন। মমতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর কথায়, ভাল তালিবান আর খারাপ তালিবান হয় না। দেশে বিভাজনের পরিবেশ তৈরির জন্য আরএসএসও সমানভাবে দায়ী। তারাও কম ক্ষতিকারক নয়।