নাগরাকাটা: স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল ডুয়ার্সের (Dooars) ১৮টি চা বাগানের নবনির্মিত ক্রেশের। শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসের (International Women’s Day) দিন প্রশাসনের তরফে বাগানগুলিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এককথায় এদিন থেকেই চা বাগানে রাজ্যের উদ্যোগে তৈরি ক্রেশগুলি আনুষ্ঠানিকভাবে পথ চলা শুরু করল।
শ্রম দপ্তরের আওতাধীন পশ্চিমবঙ্গ ভবন ও অন্যান্য নির্মাণ শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের অর্থানুকূল্যে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর আধুনিক পরিকাঠামো সমৃদ্ধ ক্রেশগুলি তৈরি করেছে। এবিষয়ে জলপাইগুড়ির ডেপুটি লেবার কমিশনার শুভাগত গুপ্ত জানান, এর ফলে চা বাগানের মহিলা শ্রমিকরা তাঁদের শিশুদের ক্রেশে রেখে নিশ্চিন্তে কাজে যেতে পারবেন। শিশুদের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি। ক্রেশ চালাতে যে খরচ হবে তা রাজ্যই বহন করবে।
এদিন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মাল মহকুমায় গ্রাসমোড়, নিদাম, নিউ গ্লেঙ্কো, কিলকোট, রানিচেড়া, কুমলাই, সোনালী, নাগেশ্বরী, নয়াসাইলি ও ধূপগুড়ি মহকুমার তেলিপাড়া ও চামুর্চির মতো ১১ টি চা বাগানে ও আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার তোর্ষা, বীরপাড়া, জয় বীরপাড়া, মথুরা, পাটকাপাড়া, রায়ডাক ও কাদম্বিনী মিলিয়ে ৭টি চা বাগানের ক্রেশের দায়িত্ব এলাকার একটি করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। নাগরাকাটার গ্রাসমোড় ও নয়া সাইলি চা বাগানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিডিও সোনিকা কুমারী, জলপাইগুড়ির ডেপুটি লেবার কমিশনার শুভাগত গুপ্ত, সহকারি শ্রম কমিশনার শুভ্রজ্যোতি সরকার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুজুর, সমাজসেবী কাজি পান্ডে সহ আরও অনেকে।