কিশনগঞ্জ: পণের বলি হলেন গৃহবধূ! কিশনগঞ্জের নেপাল সীমান্তের বাঘমারা গ্রামের ঘটনা। মৃতার নাম, সংগীতা রায়। ঘটনায় মৃতার বাবার বাড়ির লোকজন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী ভরতলাল রায়কে গ্রেপ্তার করেছে।
দশ বছর আগে সংগীতাদেবীর সঙ্গে বিয়ে হয় ভরতলাল রায়ের। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে সংগাতীদেবীর স্বামী বাইক ও ফ্রিজের জন্য তাঁর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতে থাকে। এনিয়ে গ্রামে বেশ কয়েকবার সালিশি সভাও হয়। বুধবার ভরতবাবু ফোনে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের জানায়, সংগীতাদেবী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সেইমতো সংগীতাদেবীর বাড়ির লোকজন বাহাদুরগঞ্জের কোয়েলপুর দুলালী গ্রাম থেকে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি বাঘমারা গ্রামে রাতে যান। তাঁরা গিয়ে দেখেন সংগীতাদেবী অচেতন অবস্থায় বারান্দায় পড়ে আছেন। মেয়ের কাছে গিয়ে দেখা যায়, গলায় শাড়ির ফাঁস লাগানো ও হাতে চোট।
এবিষয়ে ভরতবাবুকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। এরপর সংগীতাদেবীকে উদ্ধার করে প্রথমে কিশনগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা পূর্ণিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রেফার করেন। গতকাল সন্ধ্যায় পূর্ণিয়া যাওয়ার পথে সংগীতাদেবীর মৃত্যু হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশনগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। গরবনডাঙ্গা থানার ওসি সুরেশ কুমার জানিয়েছেন, পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।