হরিশ্চন্দ্রপুর: উত্তরবঙ্গের ব্যাপক বৃষ্টির ফলে জল বাড়তে শুরু করেছে ফুলহর নদীতে। আর নদীর জল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীর দক্ষিণ দিকের অসংরক্ষিত এলাকায় শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন। হরিশ্চন্দ্রপুর(Harishchandrapur) থানা এলাকার ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নদীর অসংরক্ষিত অঞ্চলে থাকা রশিদপুর থেকে গোবরা হাট পর্যন্ত ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। বুধবার রাত থেকে নদীর জল বাড়তে শুরু করায় স্রোত আরও বেড়ে গিয়েছে। আর এই স্রোতের দাপটে নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করেছে। আতঙ্কে নদীর দক্ষিণ পাশে থাকা অসংরক্ষিত অঞ্চলের রশিদপুর, ভাকুরিয়া মীরপাড়া তাঁতি পাড়া সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দা। রশিদপুরের অনেক কাছে চলে এসেছে নদী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিবছর ফুলহর নদীর ভাঙনের(Erosion) প্রভাবে রশিদপুর এলাকা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রশিদপুর গ্রামের অনেকটা অংশই ধীরে ধীরে নদীর গর্ভে চলে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক কৃষকের জমিও নদীর তলায় চলে গিয়েছে বলে তাঁদের দাবি। প্রশাসন এই ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে রশিদপুর গ্রাম জলের তলায় চলে যাবে বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, ফুলহর নদীর দক্ষিণ তীরবর্তী অংশে ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রশিদপুর ভাকুরিয়া কাউয়াডোল মিরপাড়া, তাতিপাড়া সহ একাধিক গ্রাম রয়েছে। ফুলহর নদীতে জল বাড়লে বা কমলে ভাঙন কিংবা প্লাবনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই এলাকাগুলি। প্রকৃতপক্ষে এগুলি হল নদীর অসংরক্ষিত এলাকা।
স্থানীয় কৃষক ঋষি লাল যাদব বলেন, ‘জল বাড়লেও আমাদের ক্ষতি। আবার জল কমে ভাঙন হলেও কৃষি জমি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা চাই আমাদের স্থায়ী পুনর্বাসনের দিকে নজর দিক সরকার।‘ তবে সেচ দপ্তরের বক্তব্য, ‘নদীর অসংরক্ষিত অঞ্চল দক্ষিণ পাড়ে প্রাকৃতিক নিয়মে ভাঙন হবেই।‘
এ প্রসঙ্গে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী তজমুল হোসেন ওই এলাকার মানুষদের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগী হবে বলে জানান। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও তাপস পাল বলেন, ‘নদীর জল বাড়ার পরেই আমি এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।‘
এ প্রসঙ্গে উত্তর মামলার সাংসদ খগেন মুর্মু আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যেই দিল্লিতে গঙ্গা এবং ফুলহর নদীর ভাঙন সমস্ত স্থায়ী সমাধান নিয়ে কেন্দ্রীয় সেচ মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু এই ব্যাপারে রাজ্যের কোনও উদ্যোগ দেখে নেই। যেটা সত্যিই হতাশাজনক।‘