গৌতম দাস, তুফানগঞ্জ: মূল ছাগলহাটি অপরিচ্ছন্ন। আবর্জনায় ভরা। ওখানে কয়েক মিনিট দাঁড়ানোই কষ্টকর। তাই ধলপলে রাজ্য সড়কের উপর ছাগল কেনাবেচা করা হয়। ফলে যাতায়াতের ব্যস্ততম রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যানজট হচ্ছে। প্রশাসনে বহুবার জানানো হয়েছে। প্রশাসনের কর্তারা বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই ক্ষোভে ফুঁসছেন ক্রেতা-বিক্রেতা সহ স্থানীয়রাও।
তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের ধলপল গ্রাম পঞ্চায়েতের ধলপল বাজার এলাকায় তুফানগঞ্জ-ভাটিবাড়ি ও ধলপল-চিকলিগুড়ি রাজ্য সড়কের সংযোগস্থলে প্রতি শনিবার বসে ছাগলের হাট। তুফানগঞ্জ মহকুমার ছাগলের এটাই সবচেয়ে বড় হাট। এখানে পার্শ্ববর্তী রাজ্য অসম ও বিহারের ছাগলও এই হাটে বিক্রির জন্য আনা হয়। প্রতি হাটে হাজারের উপর ছাগল বিক্রি হয়। এত ছাগল নিয়ে রাস্তায় বিক্রেতারা ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করেন। রাস্তা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তা দুটি দিয়ে তুফানগঞ্জ থেকে ভাটিবাড়ি, আলিপুরদুয়ার, চিকলিগুড়ি, বারবিশা, কামাখ্যাগুড়ি, রামপুর ও অসমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। রাস্তা বন্ধ করে হাট বসায় সমস্যায় পড়তে হয় স্কুল পড়ুয়া, অফিসযাত্রী, অ্যাম্বুল্যান্স, টোটো, অটো ও বাসের চালক ও যাত্রীদের। হাটটি নির্দিষ্ট জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার দাবি উঠেছে।
ছাগল ব্যবসায়ী নবিদুল হকের কথায়, ‘বহু বছর ধরে আমি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। নিয়ন্ত্রিত বাজার কমিটি (আরএমসি) পরিচালিত ছাগলহাটিতে কয়েক মিনিটও দাঁড়ানো যায় না। জায়গাটি অপরিচ্ছন্ন। প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই আজ এই অবস্থা। তাই বাধ্য হয়েই রাস্তার উপর ছাগলহাটি বসছে।
ধলপল বাজার ব্যবস্থা সমিতির সম্পাদক বিশ্বজিৎ দে’র কথায়, ‘হাটবারে রাস্তার উপর ছাগলহাটি বসায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সুরাহা হয়নি।’ তৃণমূলের ধলপল-১ গ্রাম অঞ্চল সভাপতি পরিমল দাস অবশ্য বলেন, ‘আরএমসি এখান থেকে রাজস্ব আদায় করছে। অথচ পরিষেবা দিচ্ছে না। এমনটা হতে পারে না। দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানাব।’ আরএমসির হাট ইনচার্জ নেপালচন্দ্র দে’র বক্তব্য, ‘রাস্তার উপর ছাগলহাটি বসতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু কেউ কথা শোনেন না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ছাগলহাটির জন্য ছাউনি বানানো হবে।’