উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ঘটনার ১০ দিন পর ফের সক্রিয় ইডি (ED)। সোমবার কলকাতায় অ্যাকশন শুরু করল এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। র্যাশন বন্টন দুর্নীতি (Ration scam) মামলায় এদিন একযোগে চার জায়গায় হানা দিয়েছে বলে খবর। সল্টলেক সেক্টর ফাইভে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যর (Sankar addhya) অফিসে হানা দেওয়ার খবর মিলেছে। সেই অফিসটি ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গত ৫ জানুয়ারি র্যাশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে গিয়ে সন্দেশখালিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির তিন আধিকারিক।
র্যাশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় আবার সক্রিয় ইডি। সোমবার সকাল থেকে কলকাতার অন্তত চারটি জায়গায় একযোগে তল্লাশি শুরু করেছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই মামলায় ধৃত বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শংকর আঢ্যের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের অফিসেও গিয়েছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা। এদিন সকাল সকাল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে ইডি আধিকারিকরা পৌঁছে যান সল্টলেক সেকটর ফাইভের শংকর আঢ্যের সিএর অরবিন্দ সিংয়ের অফিসে। পরবর্তীতে র্যাশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় শংকর আঢ্যের আরও একাধিক অফিসে পৌঁছে যায় আধিকারিকরা। এখনও পর্যন্ত চৌরঙ্গি, রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডে শংকর আঢ্যর আফিসে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন ইডি আধিকারিকরা। গত শুক্রবারই এই অফিসগুলো সিল করে দিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। আজ তালা ভেঙে বেলা ১১টা নাগাদ শুরু করেন তদন্ত। এদিন প্রতিটি তল্লাশিস্থলেই মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রয়েছে কেন্দ্রীয় মহিলা জওয়ানরাও।
ইডি আদালতে দাবি করেছে, শংকর আঢ্যর ৯০টির বেশি ফরেক্স সংস্থা (বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার সংস্থা) রয়েছে। তবে সেই সংস্থাগুলির সবক’টি শংকরের নামে নেই। রয়েছে তাঁর আত্মীয়, পরিজন এবং পরিচিতদের নামে। এই সংস্থার মাধ্যমে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে লেনদেন করা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার। অভিযোগ, টাকা আগে বিদেশি মুদ্রায় (মূলত ডলারে) পরিবর্তন করে তার পর তা দুবাইয়ে পাঠানো হয়েছে। কখনও টাকা সরাসরি দুবাই পৌঁছেছে, কখনও গিয়েছে বাংলাদেশ হয়ে।