উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশ সুপারকে জানানোর পরেও কীভাবে আধিকারিকদের ওপর হামলা হল? এবার সন্দেশখালি এবং বনগাঁকাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে কড়া বিবৃতি জারি করল ইডি। একইসঙ্গে সন্দেশখালির ঘটনায় পুলিশি পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অবশ্য সন্দেশখালিতে ( Sandeshkhali ) ইডির ওপর হামলার ঘটনায় এদিন মুখ খুলেছেন ডিজি রাজীব কুমার ( DG Rajib Kumar )। যারা আইন ভেঙেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি।
গত ৫ জানুয়ারি র্যাশন দুর্নীতির ( Ration Scam ) তদন্তে সন্দেশখালির তৃণমূল ( Trinamool ) নেতা শাহজাহান শেখের ( Shahjahan Sheikh ) বাড়িতে হানা দেয়। সেখানে তাঁর অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। তাঁদের মধ্যে রামকুমার রাম নামে এক আধিকারিকের মাথা ফেটে যায়। প্রত্যেককে সেই সময় হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। সেই ঘটনার পর রাতে বনগাঁতেও প্রায়ই পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। দুটি ঘটনার পর থেকেই একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য পুলিশ।
সোমবার প্রেস বিবৃতিতে ইডি দাবি করেছে, শুক্রবার সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে ইমেল মারফত বনগাঁর পুলিশকে তল্লাশি অভিযানের ব্যাপারে জানানো হয়েছিল। এরপর বিকেল ৪টে নাগাদ পুলিশ সুপারের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করা হয়। তাঁদের কাছে ইডি আধিকারিকদের জন্য নিরাপত্তা চাওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও যে জায়গায় তল্লাশি চলছিল, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সেখানে বড় জমায়েত হয়। পরে ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
