আলিপুরদুয়ার: সামনেই বড়দিন, আর বড়দিন উপলক্ষ্যে আমজনতা রেস্তোরাঁ, পিকনিকে খাওয়া দাওয়া, আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে। তেমনি বন্ধুবান্ধব পরিবারের সঙ্গে চার্চ সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতেও যায়। তবে বড়দিনে অন্যতম হল হরেকরকমের কেক খাওয়া। তাই আলিপুরদুয়ার শহর এবং সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন বেকারিতে কেক তৈরির প্রস্তুতি জোরকদমে চলছে। তবে এবার হঠাৎ করে ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় কেউ বাধ্য হয়েই কেকের দাম বাড়িয়েছে, আবার কেউ খুবই অল্প লাভ করছে হোমমেড কেক বিক্রি করে। আবার অনেকেই ডিমের পরিবর্তে প্রিমিক্স পাউডার দিয়ে কেক তৈরি করছেন।
বাড়িতে যারা কেক প্রস্তুত করেন তাঁরা জানান, আজকাল বিভিন্ন নামিদামি ব্রান্ডের কেক কেনাকাটার সঙ্গে সঙ্গে হোমমেড কেক ও কিনছে। অনেকে আবার কাস্টোমাইজেড কেকও অর্ডার করছেন। কিন্তু ডিমের দাম ৮ টাকা প্রতি হয়ে গিয়েছে। যার জন্য অনেকে কেকের দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার প্রতিযোগিতার বাজারে কেকের দাম বাড়ালে ক্রেতারা চলে যাবে। সেই জন্য ক্রেতা ধরে রাখতে আবার অনেকে কেকের দাম বাড়াচ্ছেন না। ডিমের পরিবর্তে ফ্লেভারড প্রিমিক্স পাউডার দিয়েও কেক তৈরি করছেন।
কেক প্রস্তুতকারক ঝুম্পা সরকার বল্লভ বলেন, ‘ক্রেতারা যেমন ধরণের কেক চেয়ে থাকে সেই মতো কেক বানিয়ে দি। এবার বড়দিন উপলক্ষ্যে খেজুর গুড়ের কেক, ওটস কেক, আটার কেক, খেজুর কেক, ড্ৰাই ফ্রুইটস কেক, পেস্তা কেক, চকোলেট কেক সহ আরও কেক বানাচ্ছি। তবে এবার কেক বানাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কেননা হঠাৎ করে ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় কেকের গুণমান ঠিক রাখার জন্যে দাম বাড়াতে হচ্ছে। যেটা গতবার ৬০ টাকা ছিল, সেটা এবার প্রায় ১০০ টাকার মতো করতে হচ্ছে।‘