উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে বুধবার অসমের শিলচরে প্রচারে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সভা থেকে বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূল নেত্রী। সেইসঙ্গে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচনি সভায় এদিনের বক্তব্যে উঠে এল সিএএ প্রসঙ্গ। তিনি আশ্বাস দিলেন, তৃণমূল ক্ষমতায় এলে সিএএ হবে না অসম রাজ্যে।
অসমে চারটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। শিলচরে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছেন রাধেশ্যাম বিশ্বাস। বুধবার সেই প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে রাধেশ্যাম সহ অন্যান্য টিএমসি প্রার্থীদের জেতানোর ব্যাপারে আহ্বান জানান তিনি। এদিন সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, “অসমে বাঙালি হিন্দু ও মুসলিম ভোট মিলিয়ে ৭০ শতাংশ। আর অসমিয়া ভোট মাত্র ৩০ শতাংশ। সবাই মিলে লড়াইয়ের জন্য তৈরি হতে হবে”।
সিএএ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “আপনাদের হয়ে সিএএ ও এনআরসি ইস্যুতে বাংলায় আন্দোলন করেছিলাম বলে আমার বিরুদ্ধে অসমে এফআইআর হয়েছিল। আমি ভুলিনি ৬-৭টা মামলা করেছিল। কী করবে গলা কাটবে? ক’জনকে জেলে ভরবে তোমরা? ভারতকে ডিটেনশন ক্যাম্প বানিয়ে দিয়েছে বিজেপি। এই নির্বাচন ভয়ঙ্কর হতে চলেছে। এত কলুষিত নির্বাচন আগে কোনও দিন দেখিনি। সরকার চলছে এজেন্সি দিয়ে। সব মিডিয়ায় দেখবেন বাবুদের বড় বড় ছবি, বিজ্ঞাপন। কোনওদিন খোঁজ নিতে আসে না। কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে ১০ লক্ষ শূন্যপদ পড়ে রয়েছে। তৃণমূল সরকারে এলে সিএএ, এনআরসি বাতিল করা হবে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করা হবে না।”
তৃণমূল নেত্রী বলেন, “একবার জোট বাঁধুন। জোট মানে তৃণমূল। আমরাই ইন্ডিয়াকে পথ দেখাব। বাংলায় কংগ্রেস সিপিএম বলে কিছু নেই। ওখানে ওঁরা বিজেপিকে সমর্থন করে। এবার মোদি জিতে গেলে গণতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না। আর নির্বাচন হবে। গণতন্ত্রকে বিজেপি বেঁচে দিয়েছে। জনতার জন্য ওরা কিছু করেনি। আমরা লড়তে পারি। আপনারা পারবেন না কেন?”
রাম নবমী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দাঙ্গা করে ভোটে ফায়দা লুঠতে চায় বিজেপি। দাঙ্গা ছাড়া কোনও গ্যারান্টি নেই মোদি সরকারের। সংখ্যালঘু, আদিবাসী, বাঙালি, রাজবংশী সহ দলিতদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। রাম নবমীর দিনে ওদের দাঙ্গা করার পরিকল্পনা রয়েছে।”