রায়গঞ্জঃ শাহিদুর রহমান করণদিঘি রাহাতপুর হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক। ‘নর্থ বেঙ্গল পিপলস পার্টি’র হয়ে ভোটে লড়ছেন। হেভিওয়েট নেতাদের মতো তিনিও বেরিয়েছিলেন জনসংযোগে। সঙ্গে ছিল দলের কয়েকজন কর্মী। ভোট চাইতে গিয়ে শাহিদুর রহমমানের মিশ্র অভিজ্ঞতা হল। কেউ তাঁকে ক্ষেতের সজনে ডাঁটা হাতে তুলে আশীর্বাদ করলেন। কারও কাছে শুনতে হল ‘ভোট কাটুয়া’। অনেকে এও বললেন গত লোকসভা ভোটেও তিনি নাকি দাঁড়িয়েছিলেন।
শাহিদুর রহমান বলেন, ‘প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের একটা সুবর্ণ সুযোগ। মানুষের সঙ্গে সম্পর্কের সেতু তৈরি হয়। তবে অর্থবল না থাকায় উত্তর দিনাজপুরের সব জায়গায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বহু জায়গায় মানুষ আমাকে আশীর্বাদ করেছে। চেয়ারে বসিয়ে চা-বিস্কুট খেতে দিয়েছে। কেউ খাইয়েছে নাস্তা। আমি সত্যিই আপ্লুত।’
শাহিদুর রহমান বলেন, ‘একজন জানতে চাইলেন কেন আমি ভোটে দাড়িয়েছি। একজন বললেন আমি নাকি ভোট কাটুয়া। বলেছি, আমার দল নর্থ বেঙ্গল পিপলস পার্টি উত্তরবঙ্গ মানুষের নিজস্ব দল। দল তৈরি করেছি বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মঞ্চ হিসেবে। কারও তাবেদারি করতে নয়। আমাদের দলের অর্থবল নেই। তাই প্রচারে যাওয়ার জন্য গাড়ি ভাড়া করতে পারছি না। ফ্লেক্স, হোর্ডিং, পোস্টার ছাপানো আমাদের কাছে বিলাসিতার সমান। সামান্য অর্থ দিয়ে যতটুকু সম্ভব তা করার চেষ্টা করছি। আশাকরি আগামী উত্তরবঙ্গের সামগ্রিক রাজনৈতিক চিত্রপট পরিবর্তন করতে পারব।