নাগরাকাটা: র্যাশন সামগ্রী মজুত রাখার জায়গা বদল করেও কোনও লাভ হল না। চা বাগানের সীমানা পাঁচিল ভেঙে ফ্যাক্টরি চত্বরের গুদামে হানা দিয়ে চাল-চিনি সাবাড় করে গেল দলছুট মাকনা। ঘটনাটি ঘটেছে নাগরাকাটার বন্ধ বামনডাঙ্গা চা বাগানে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠী পরিচালিত ওই র্যাশন সামগ্রী মজুত রাখার স্থানে হাতিটি হানা দেয়। এই ঘটনায় মাথায় হাত পড়েছে র্যাশন ডিলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর। লাগাতার হাতির উপদ্রবে জেরবার ওই বাগানটির বাসিন্দারা হাতি তাড়ানোর জন্য এলাকায় বন দপ্তরের স্থায়ী ক্যাম্পের দাবি করেছেন। বন্যপ্রাণ শাখার খুনিয়া রেঞ্জের রেঞ্জার সজল দে বলেন, ‘হাতির গতিবিধির প্রতি বনকর্মীরা সতর্ক দৃষ্টি রেখেছেন।‘
বামনডাঙ্গার ওই র্যাশন দোকানটি বিচ লাইন নামে একটি শ্রমিক মহল্লায় অবস্থিত। আগে সেখানেই র্যাশন সামগ্রী মজুত রাখা হত। তবে ৫ বছরে ৪০ বার হাতির হামলার কারণে গত জুলাই মাসে নারী অভিযান সংঘ নামে স্বনির্ভর গোষ্ঠী সামগ্রী মজুত রাখার জন্য নিরাপদ স্থান হিসেবে বাগানের ফ্যাক্টরির পাশেই অবস্থিত একটি ঘরকে গুদাম হিসেবে তৈরি করে নেয়। ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক সদস্য লিলি কুজুর বলেন, ‘এতেও আর রক্ষে হল না। ৮০০ শ্রমিকের র্যাশন সামগ্রী বিতরণের দায়িত্ব আমাদের কাঁধে। এভাবে সবই যদি হাতি পেটের যায় তবে মানুষ খাবে কী? যেভাবে চাল ও চিনি বস্তা থেকে বের করে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে তা আলাদা করার সাধ্য কারো নেই।‘
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাকনাটি প্রথমে বাগানের ফ্যাক্টরির পেছনের পাঁচিল ভেঙে ফেলে। এরপর র্যাশন গুদামের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। সবকিছু লন্ডভন্ড করে দিয়ে যায়। ওই বাগানের এক বাবু স্টাফ মুকেশ চৌধুরী বলেন, ‘এখানে হাতির জন্য বনকর্মীদের স্থায়ী ক্যাম্প প্রয়োজন। এমন একটিও শ্রমিক আবাস নেই যা অক্ষত আছে।‘