নাগরাকাটা: নিত্যদিনের ভুটান গমন তো আছেই। এবারে রুট একটু বদলে নিয়ে বাজারের মধ্যে ঢুকে পড়ল হাতি। তবে পালের সবকটি বুনো নয়। ওই কাণ্ড ঘটায় একটি বিশাল দাঁতাল। রবিবার গভীর রাতে হাতিটি দুলকি চালে লুকসান বাজারের রাস্তা দিয়ে হেঁটে রেলগেট পর্যন্ত চলে আসে। সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। যদিও হাতিটি কোনও ক্ষয়ক্ষতি করেনি। এই দৃশ্য ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। তা দেখে সোমবার দিনভর লুকসানের আড্ডার যাবতীয় চর্চা ছিল হাতিটিকে কেন্দ্র করেই। স্থানীয়রা বলছেন, ‘লাগোয়া এলাকায় হাতির হানাদারি নিত্যদিনের ঘটনা হলেও বাজারের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে এমনটা তাঁরা এর আগে কখনও দেখেননি।’ খবর পেয়ে বন দপ্তরের ডায়না রেঞ্জের কর্মীরা বিস্তর কসরতের পর সেটিকে জঙ্গলে ফেরায়। রেঞ্জার অশেষ পাল বলেন, ‘হাতির পালের গতিবিধির প্রতি সতর্ক নজর রেখে চলা হচ্ছে।’
বন দপ্তর ও স্থানীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, মোট ২৫টি হাতির পাল বেশ কিছুদিন ধরে ডায়নার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লুকসান চা বাগান হয়ে প্রতিবেশী দেশ ভুটানে যাচ্ছে। দলটিতে একাধিক শাবকও রয়েছে। চলার পথে ১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে রেললাইন কোনও কিছুকেই পরোয়া করছে না হস্তীযূথ। ফলে সবসময় তটস্থ থাকতে হচ্ছে বন দপ্তরকে। ভুটানে যাওয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য সেখানকার ধানখেত। রাতভর হলদে হয়ে ওঠা বিঘার পর বিঘা ধান সাবাড় করে ভোরে নিজেদের ডেরা ডায়নার জঙ্গলে ফিরছে বুনোগুলি। ফেরার সেই দৃশ্য দেখতে আবার গ্রাসমোড় চা বাগান সংলগ্ন চার নম্বর গেটের সামনে ভিড় জমাচ্ছে বহু মানুষ। জাতীয় সড়ক টপকে ওই রুট ধরেই হাতিগুলি জঙ্গলে ফিরছে।
এর আগে ওই দলটিতে ৪০টি হাতি ছিল বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি তিনটি উপদলে বিভক্ত হয়ে বাকি দুটি আপার কলাবাড়ি ও ডায়না চা বাগানের দিকে হানা দিচ্ছে। তবে সবার নজরের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন ২৫টি হাতির ওই দলটির কাণ্ডকারখানা।