নাগরাকাটা: ৫০ বিঘা জমির আলু খেত তছনছ করলো একপাল হাতি। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও বেশ কয়েক বিঘা জমির বিনস, মটরশুঁটির মতো সবজিও। ঘটনাটি ঘটে সোমবার গভীর রাতে নাগরাকাটার আংরাভাসা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পূর্ব খয়েরকাটায়। ধার করে আলু চাষে নেমে এবারে কার্যত সর্বস্বান্ত হওয়ার যোগাড় অন্তত ৩০ জন চাষির। দুলাল রায় নামে এক চাষি হতাশাগ্রস্ত হয়ে ওই রাতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলে স্থানীয়দের দাবি। লোকালয়ে হাতি ঢুকলেও বন দপ্তর কিছুই করে না এমন অভিযোগ তুলে এদিন ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বেশ কিছু চাষি বন দপ্তরের নাথুয়া রেঞ্জে গিয়েও তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে আসেন। যদিও রেঞ্জার চন্দন ভট্টাচার্য জানান, আবেদন করলে নিয়ম মোতাবেক চাষিরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। সার্চ লাইট প্রদানের যে দাবি তাঁরা জানিয়েছেন সেব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে।
স্থানীয় সূত্রেই জানা গেছে পাশের জঙ্গল থেকে ৮-১০ টি হাতির একটি দল আলু চাষের জমিতে ঢোকে। কনকনে ঠান্ডায় চাষিদের কারও পক্ষে জমি পাহারাদারি সম্ভব ছিল না। ফলে নির্বিচারে বিঘার পর বিঘা জমির আলু ও সেই সঙ্গে সবজি খেত লন্ডভন্ড করে দেয় বুনোদের দলটি। নিরঞ্জন সরকার নামে এক চাষি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই জমিতে হাতি ঢুকছে। তবে সোমবার রাতে যে ক্ষতি হল তা অপূরণীয়। কেউ জমি লিজ নিয়ে আবার কেউ ব্যাংক বা মহাজনের কাছ থেকে ধার করে আলু চাষে নেমেছিলেন। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় বন দপ্তর নির্বিকার।” শ্রীবাস রায় নামে আরেক চাষির কথায়, “গত দু বছর ধরে এখানে হাতির অত্যাচার চরমে উঠেছে। আতঙ্কে রাতের বেলা দু চোখের পাতা এক করে উঠতে পারি না। চাষিরা কিভাবে বাঁচবে তা প্রশাসন দেখুক।”