বালুরঘাট: সরকার নির্ধারিত বার্ধক্য ভাতার বয়স পেরিয়ে গিয়েছে। ভাতার জন্য বহু জায়গায় দরবার করেছেন তাঁরা। দরজার কড়া নেড়েছেন বহু দপ্তরের। তবুও কপালে জোটেনি ভাতা। দুয়ারে সরকার শিবিরে জানিয়েও এখনও সুরাহা মেলেনি বহু বৃদ্ধ-বৃদ্ধার। কবে থেকে ভাতা পাবেন, এই আশায় বুক বেঁধেছেন ডাঙ্গা গ্রামের ৯৪ বছর বয়সী বিন্দুবালা মহন্তে। তাঁর আক্ষেপ, ‘পাঁচ বছর ধরে বার্ধক্য ভাতা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়েছিলাম, তবুও হয়নি। বহু চেষ্টা করেও সে ভাতা পাচ্ছিনা। যদিও কাউন্সিলার বলেছেন শীঘ্রই ভাতা পাব। এখন দেখা যাক কি হয়।‘
ওয়ার্ড কাউন্সিলার অভিজিৎ সাহার বক্তব্য, ‘আমাদের বোর্ড আসার আগে থেকেই ওই বৃদ্ধা ভাতা পাচ্ছিলেন না। তাঁর নাম তালিকায় তুলে দিয়েছি। সরকারের তরফে টাকা দেওয়া চালু হলেই তিনি তা পেয়ে যাবেন।’ যদিও প্রশাসনের তরফে বলা হচ্ছে বেশিরভাগ বয়স্ক মানুষেরই আধার কার্ড আপডেট করা নেই সেই কারণেই বার্ধক্য ভাতা পেতে তাদের সমস্যা হচ্ছে। শুধু বিন্দুবালাই নন, এলাকার বহু বয়স্ক মানুষ অধীর আগ্রহে সেই ভাতার দিকে চেয়ে বসে আছেন। গ্রামের মতো অবস্থা শহরেরও। বালুরঘাট শহরের অনেকেই এখনও বার্ধক্য ভাতা থেকে বঞ্চিত।
বালুরঘাটের বিডিও অনুজ শিকদার জানান, ‘আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বয়স্কদের সমস্ত নথিপত্র ঠিক করার আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু এখনও অনেকেই উদাসীন। আধার কার্ড আপডেট করেননি, ব্যাংকে যোগাযোগ করেননি অনেকেই। তাই হয়ত তারা ভাতা পাচ্ছেন না। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাদের নথি ঠিক করা উচিত। বাকিটা আমরা নিশ্চয়ই দেখব।’