বেলাকোবা: অবৈধভাবে বালি তোলার বিরুদ্ধে শুক্রবারও রাজগঞ্জ ব্লকের বিন্নাগুড়ির ক্যামেল মোড়ে অভিযান চালাল রাজগঞ্জ ভূমি ও রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকরা। সেই অভিযানে ৮টি ডাম্পার আটক করা হয়। সেগুলিকে ফাইনও করা হয়। এই নিয়ে ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে যান আটক করা গাড়ির মালিকরা। এই বিষয়ে রাজগঞ্জ ভূমি রাজস্ব আধিকারিক শুভব্রত মিত্র জানান, আজ অবৈধভাবে বালি তোলার জন্য আটটি ডাম্পারকে আটক করে ফাইন করা হয়। প্রতি ডাম্পার ৪০ হাজার টাকা করে মোট ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ফাইন করা হয়। আগামীতে এই অভিযান আরও চলবে।
জানা গিয়েছে, আটক হওয়া গাড়িগুলো রয়্যালটি চালান না কেটেই নদী থেকে বালি তুলেছে। যদিও রয়্যালটি পাওয়া নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ জানিয়েছেন গাড়ির মালিকেরা। তাঁদের বক্তব্য, তিন মাস নদী থেকে মেটেরিয়ালস তোলা বন্ধ থাকার পর নভেম্বর মাসে জেলাশাসকের নির্দেশে পুনরায় চালু হয়েছে। কিন্তু রয়্যালটি কাটার জন্য কোনও নির্ধারিত দাম নেই। গত বছর যেখানে সিএফটি প্রতি নেওয়া হয় ৫-৬ টাকা। এবার সেখানে ১২-১৪ টাকা দাম নেওয়া হচ্ছে। যা কয়েক গুণ বেশি। ফলে বাধ্য হয়ে অবৈধ পথ বেছে নিতে হচ্ছে বলে জানান তাঁরা। রয়্যালটির সমস্যা নিয়ে প্রশাসনকে জানিও কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি।
রয়্যালটির অভিযোগের এই বিষয়টি ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিককে বলা হলে তিনি এই বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি শুধু বলেন, ‘রয়্যালটির দাম আমরা নির্ধারণ করতে পারি না।‘ সমস্যার বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা মাইনস-এর ওসি শান্তুনু রায়কে ফোন করা হলে তিনি সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করে নেন। বলেন, ‘জেলার ৮৪টি ঘাটের মধ্যে ৬৪টি ঘাট বন্ধ রয়েছে। খোলা রয়েছে শুধু ১৮টি। ফলে জোগান কমে যাওয়ায় চাহিদা বেড়েছে এবং দামও বেড়েছে।‘ এই বিষয়ে মালিকদের সঙ্গে প্রশাসনের আধিকারিকেরা আলোচনায় বসে দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।